পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sやッ ভারতে অলিকসন্দর উঠে, ভবিষ্যতে যাহাতে তিনি এরূপ অতি সাহসে প্রবৃত্ত না হন, সে জন্য র্তাহারা যথেষ্ট অকুনয় বিনয় করেন। কোন লেখক বলেন, অলিকসন্দর সেনানীদের এই সমালোচনায় বিরক্ত হইয়াছিলেন, অপরে বলেন, তিনি প্রসন্ন হইয়াছিলেন। অলিকসন্দরের জীবনী লেখকদিগের মধ্যে, এইরূপ পরস্পর মতভেদ অনেক স্থানে দেখিতে পাওয়া যায় । সেনানীরা যে সময় অলিকসন্দরকে এইরূপ অনুরোধ করিতেছিলেন,সে সময় একজন বিওসিয়া দেশীয় সৈনিক, তাহার গ্রাম্য ভাষায় “হে অলিকসন্দর । অসাধারণ পুরুপই অসাধারণ কাৰ্য্য করিয়া থাকেন,” ইহা কহিয়া তিনি “যে মারে সেই মার খাইয় থাকে” এই মৰ্ম্মের একটি শ্লোকার্দ্ধ উচ্চারণ করেন। অলিকসন্দর, লোকটির উপর প্রসন্ন হইয়াছিলেন, এবং ভবিষ্যতে সে র্তাহার সান্নিধ্য লাভ করিতে সমর্থ হইয়াছিল । যথেষ্ট চেষ্টা করিয়াও যদি কাম্যবস্তু লাভ করিতে না পার যায়, তাহা হইলে সেই উদ্যোগী পুরুষ কখনই নিন্দনীয় হইতে পারেন না। যে ব্যক্তি মেষের মত পরাজিত না হইয়া, পুরুষের মতন পরাজিত হয়। সেই পুরুষ শ্রেষ্ঠ, পরাজিত হইয়াও প্রশংসিত হইয়া থাকেন । লক্ষ লক্ষ ভারতবাসী আপনাদের স্বাধীনতা রক্ষা করিবার জন্য অকাতরে যে আত্ম উৎসর্গ করিয়াছিলেন,তাহা চিরকার বিষ্ময়ের সহিত পঠিত হইবে। জয় বা পরাজয় যুদ্ধের অবশ্যম্ভাবী ফল,পরাজিত হইলেই কিছু নিন্দনীয় হইতে পারে না। পরাজিত ব্যক্তির যদি কাৰ্য্য সাধনের জন্য ঐকস্তিক দৃঢ়তা,৭শরীর, ত্যাগে অপরায়ুখতা, এবং কৰ্ত্তন্য সম্পাদনে উৎসাহ না থাকে তাহা হইলে সে নিন্দনীয় হইতে পারে।