পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেশবাসীর সংযম । ՋԳՏ) হইয়াছিল। মুষিকানদের দেশে স্বর্ণ রৌপ্যের খনি বর্তমান থাকিলেও, তাহারা ইহার ব্যবহার করিত না, সুতরাং অর্থজনিত, দুশ্চিন্তা, নিরানন্দ, হিংসা, দ্বেষ, তাহাদিগকে অধিকার করিতে সমর্থ হইত না । সে কালে স্পার্ট প্রভৃতি স্থানে, যেরূপ দাস প্রথার প্রচলন ছিল, আমাদের ভারতে তাহ দেখিতে না পাইয়া, গ্রীকগণ বিক্ষিত হইয়াছিল। মুষিকান দেশের যুবকের কৃষিকাৰ্য্য সম্পন্ন করিত। স্পার্টানরা যেরূপ সকলে মিলিত হইয়া সাধারণ ভোজনাগারে ভোজন করিত, সেইরূপ বোধ হয় মুষিকান দিগকে ভোজ উপলক্ষে সকলকে একত্র ভোজন করিতে দেখিয়া, বৈদেশিকগণ ইহাদিগকে স্পাটানদিগের সহিত তুলনা করিয়া থাকিবেন । যে সমাজের লোক সকল সংযতচিত্ত, সে সনজে আইন আদালতের দরকার হয় না । তাই গ্রীক গণ, ইহাদিগের মধ্যে আইনের বাহুল্য দেখিতে পান নাই । নরহত্য আtদি উগ্র অপরাধের জন্যই দোষী রাজদ্বারে আনীত হইত। বল বাহুল্য যে এরূপ ঘৃণিত কার্ষ্য কচিৎ অনুষ্ঠিত হইত। আমাদের ভারতবর্ষ ব্যতীত, এরূপ রাজ্য প্রণালী পৃথিবীর অন্যত্র সম্পূর্ণ অসম্ভব। * মুষিকান দিগের অধীশ্বর, পরের পদানত হইবার শিক্ষ কখন প্রাপ্ত হন নাই । তাই তিনি অলিক সন্দরের পদতলে উপহার লইয়া লুষ্ঠত হন নাই। অলিকসন্দর, প্রবল পরাক্রান্ত মুষিকান অধিপকে আগমন করিতে ন দেখিয় শঙ্কিত হইলেন। পাছে তিনি প্রস্তুত হইয়া তাহার গমন পথে বাধা প্রদান করেন, এই ভাবিয়া যুদ্ধশাস্ত্রের মৰ্ম্মঞ্জু মহাবীর অলিকসূদুর, অতি দ্রুতগতিতে র্তাহার সীমান্ত প্রদেশে আগমন সংবাদ পৌছিবার