পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

અન્ય ভারতে অলিকসন্দর নিদারুণ শক্রর হস্ত হইতে নিস্কৃতি পাইবার জন্য এই উপায় অবলম্বন করিয়াছিলেন। অলিকসন্দর সকলের অগ্রে অবস্থান করিয়া যুদ্ধ করিয়া থাকেন, সুতরাং কোন রূপে তাহাকে এই বিষদিগ্ধ অস্ত্রে আহত করিতে পারিলে, সমস্ত ক্লেশের অবসান হইবে বিবেচনা করিয়াছিলেন, ভারতবাসীর আশাপূর্ণ হয় নাই । অলিকসন্দরের বাল্য সহচর ও বিশ্বস্ত সেনানী তুরময়, ইহাতে আহত হইয়া, মৃতবৎ পতিত হইলেন অলিকসন্দর ব্যহিত হইলেন, পনীহার পরিত্যাগ করিয়া বন্ধুর পাশ্বে অবস্থান করিতে লাগিলেন, বিষাদের চিহ্ন, সকলের মুখে স্পষ্ট রূপে প্রকাশ পাইতে লাগিল। অনেকে বলেন, এ সময় ক্ষিন্ন অলিক সন্দর, নিদ্রিত হইলে স্বপ্নে ঔষধ পাইয়াছিলেন, আবার কেহ বলেন একজন স্বদেশদ্রোহী ভারতবাসী অর্থলোভে মুগ্ধ হইয়া ইহার ঔষধ বলিয়া দেন, অলিকসন্দর নিজের মহিমা প্রচার করিবার জন্য, স্বপ্ন বৃত্তান্ত লোকসমাজে প্রচার করেন। এই ঔষধে তুরময় আরোগ্য লাভ করিলেন, এবং অন্যান্য আহত ব্যক্তি তখনও যাহারা মৃত্যুমুখে পতিত হয় নাই তাহারাও নিরাময় হইল । দৈব যখন প্রতিকূল হন, তখন মানুষের সমস্ত পুরুষাৰ্থ বিফল হইয়া যায়। অব্যর্থ কূটনীতি অবলম্বন করিয়া যুদ্ধ করিলেও সমস্ত ব্যর্থ হইয় গেল। ব্যর্থ হইলেও কিন্তু তাহদের পুরুষকারের ফল ফলিয়াছিল। অলিকসন্দর, এরূপ দারুণ দুৰ্দ্দমনীয় শক্রর উপর কোন রূপ দণ্ড প্রয়োগ না করিয়া সম্ভবতঃ মিষ্ট কথায় তুষ্ট করিয়া থাকিবেন। l অলিকসন্দর" যে সময় মুষিকদের রাজ্য পরিত্যাগ করিয়া