পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/৩০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবাসীর আত্মত্যাগ । ՋԵԳ কম ক্লেশভোগ করিতে হয় নাই। স্থানীয় লোক সকল বৈদেশিকদিগের আগমনের পূৰ্ব্বেই, স্থান ত্যাগ করিয়া গমন করিয়াছিল । সুতরাং তাহার এই অজ্ঞাত পথে ৰিপন্ন হইয়াছিলেন। পটল পরিত্যাগের দ্বিতীয় দিবসে, প্রবল ঝড়বৃষ্টীতে তাহদের ক্লেশের মাত্রাকে অধিকতর বৃদ্ধি করিয়াছিল । ইহার প্রকোপে অলিকসন্দরের কতগুলি নৌকা চূর্ণ বিচূর্ণ, আর কতকগুলি ভাঙ্গিয়া যায়। এই বিপদের উপর আর একটি অচিন্তনীয় ঘটনায় মাসিদনগণকে বিশ্বয়ে অভিভূত করিয়াছিল। সমুদ্র জলের হ্রাস বৃদ্ধি, ভূমধ্যসাগরে পরিলক্ষিত হয় না। সুতরাং জোয়ার ভাটার বিষয় গ্রীকদিগের সম্পূর্ণ অজ্ঞাত ছিল। সিন্ধুনদে রপ্রবল জোয়ারে অলিকসন্দরের নৌবাহিনী ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত হইয়াছিল, পরস্পরের ঘাতপ্রতিঘাতে ভাঙ্গিয়া গিয়াছিল। জোয়রের জল বৃদ্ধি দেখিয়া আশ্চৰ্য্যান্বিত হইয়াছিল। অলিকসন্দর ভগ্ন নৌক মেরামত করিয়া অগ্রসর হইয়াছিলেন। সিন্ধুর মোহনাতে কিলোঁতা নামক একটী দ্বীপ তাহারা দেখিতে পাইয়াছিল। সেই দ্বীপে সুবিস্তৃত অনেকগুলি পোতাশ্রয় স্থল ছিল, অলিকসন্দর তাহার নৌকা সকল তথায় রক্ষা করিতে , অজ্ঞ দিয়া স্বয়ং দ্রুতগামী কয়েক খানি নৌকা লইয়া বাহির সমুদ্র দেখিতে অগ্রসর হন। আর একটা দ্বীপ র্তাহারা দেখিতে পাইয়াfছলেন। এখানে অলিকসন্দর যাহতে নিৰ্ব্বিঘ্নে তাহার নৌবাহিনী পারস্য উপকূলে পৌছিতে সমুর্থ হয়, সেই অভিপ্রায়ে পূজা ওঁ দেবোদেশে বষোৎসর্গ করিয়া স্বর্ণপাত্র সহ তাহ সমুদ্রে {} নিক্ষেপ করেনু । டு ... " সমুদ্রের উপকূলবর্তী প্রদেশ পর্যবেক্ষণ করিয়া’ অলিকসন্দর