পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/৩১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেন প্রাণ দেন ? Ջ ձ5:Տ ব্রাহ্মণগণ জ্ঞান বিষয়ে সৰ্ব্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করিলেও, বাহুবলেও তাহার কাহারো অপেক্ষা নুনি ছিলেন না। ব্রহ্মবল ও ক্ষত্রিয়বল উভয় বলে তাহারা অসাধারণ হইলেও, সমাজের হিতকল্পেই তাহদের শক্তি ব্যয়িত হইত, সমাজ ধ্বংস করিবার জন্য তাহ প্রযুক্ত না হইয়া, আমাদের এই বর্ণাশ্রম সংযুক্ত ভারতীয় সমাজকে রক্ষা করিবার জন্য, তাহাদের অসীম শক্তি প্রযুক্ত হইত। বর্ণচতুষ্টয় পরস্পর যেন একটা আত্মীয়তা স্থত্রে আবদ্ধ ছিলেন । পাশ্চাত্য শিক্ষার সহিত আমাদের দেশে দুইটা কথা আসিয়াছে যে, শূদ্রেরা এদেশের আদিম নিবাসী, আর ব্রাহ্মণ প্রভূতি ভারতের বহির্ভাগ হইতে আগমন করিয়া এদেশ অধিকার করিয়াছেন। ইয়ুরোপীয়েরা এবিষয়ে যাহাই বলুন না কেন, সে সকল যুক্তির মূল্য খুবই কম । তাহারা বলেন, বেদে ইহা উক্ত হইয়াছে, তাহারা বেদের মুখ দিয়া যাই বলুন না কেন, আমাদের বেদ পুরাণ কিন্তু, ইহার প্রতিকূলে প্রমাণ প্রয়োগ করিয়া থাকেন। অনাদিকাল হইতে আমরা এই আর্যভূমি, আর্য্যাবৰ্ত্তে উৎপন্ন হইতেছি, এবং পুরাকালে, এই স্থান হইতে দুরতর প্রদেশে গমন করিয়া, আমাদের পূৰ্ব্বজগণ উপনিবেশ সংস্থাপন করিয়াছেন। খৃষ্টের ১৪ শত বৎসর পূৰ্ব্বে আমাদের, ভারতীয় সভ্যতা ভূমধ্যসাগরের উপকূল প্রদেশে বিস্তার লাভ করিয়াছিল, তাহ আমরা অভিনব আবিস্কৃত শিলালিপিতে অবগত হই । শূদ্র সম্বন্ধে এইটুকু বলুিলেই যথেষ্ট হইবুে, যে, ম্বে বিরাট পুরুষের অঙ্গ হইতে ব্রাহ্মণাদি বর্ণত্রয় উৎপন্ন হইয়াছেন ; সেই