পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/৩১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రిషి ভারতে অলিকসন্দর বিশেষত্ব। আমাদের পরাধীনতার সহিত, আমাদের উদারবৃত্তি সকল সঙ্কুচিত হইয়াছ, আমাদের মনুষ্যত্ব অামাদিগকে পরিত্যাগ করিয়া দূরে চলিয়া গিয়াছেন। আমরা উদার না হইলে, আমরা মানুষ না হইলে, আমাদের সমাজ সুরক্ষিত হইবে না। আমাদিগকে ধ্বংস করিবার জন্য যাহার প্রস্তুত ; অথচ যাহাদিগের সমাজ মধ্যে, স্ত্রী পুরুষ, ধনী নিধন পরম্পর কলহে প্রবৃত্ত, আমরা আত্ম রক্ষার জন্য তাহাদিগের নিকট গমন করিতেছি, তাহাদিগের অনুকরণ করিতেছি, তাহাদিগকে আদর্শ করিতেছি । ঘোরতর উন্মাদ ও এরূপ কার্য্যে অগ্রসর হয় কি না, সে বিষয় সন্দেহ হইয়া থাকে। যদি বাচিয়া থাকিতে চাও, তাহা হইলে আমাদের নিজের প্রাচীন আদর্শকে অমুসরণ কর, তাহা হইলে রক্ষিত হইবে । অলিকসন্দরকে বাধা দিবারজষ্ঠ, শূদ্র রাজগণ,যথেষ্ট পরিমাণে চেষ্টা করিয়াছিলেন—অকাতরে শরীর বিসর্জন দিতেও তাহার। পশ্চাদপদ হন নাই। ইহা আমাদের স্বাধীন ভারতবর্ষের কথা । ইহঁরা কি সে কালে দাস বলিয়া ঘৃণিত হইতেন ? বর্তমান কালে বরোদার অধিশ্বর শ্ৰীমান সয়াজীরাও, বেরূপ প্রশংসিত হইয়া থাকেন, সেকালেও শূদ্র রাজেরাও, সেইরূপ উপযুক্ত হইলে প্রশংসাভাজন হইতেন। যিনি মৰ্য্যাদা , দানে অকুণ্ঠ, তিনিই ময্যাদালাভের অধিকারী। পরাধীন প্রাণ খুলিয়া প্রশংসা, বা ভদ্রভাবে নিন্দ করিতে সমর্থ হয় না, তাহাতেও যেন তাহার অধীনতার কথা ৰ্যক্ত হইয়া পড়ে। অষোধ্যাধিপতি মহারাজ রামচন্দ্রের, বনে গমন করিবার পূর্বেই, নিষাদাধিপতি তাহার “আত্মসন”