পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/৩২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vව ඌ b” ভারতে অলিকসন্দর । পৌরুষ প্রকাশ কর, দেখিবে অনতিকাল মধ্যেই তোমরা দেশে বাণিজ্য বিষয়ক যুগান্তর আনয়ন করিতে সমর্থ হইবে। ক্ষত্রিয়েরাই আমাদের ভারতে রাজার জাতি; এইজন্য ইহার রাজন্ত নামে অভিহিত হইয় থাকেন। সে কাল চোর ডাক| তের কোনরূপ ভয়ের কারণ না থাকিলেও, গ্রামবাসী ক্ষত্রিয়গণ, সৰ্ব্বদাই গোব্রাহ্মণ এবং বৈপ্ত শূদ্র প্রভৃতি সকলকে রক্ষা করিবার জন্য সৰ্ব্বতোভাবে চেষ্টা করিতেন। প্রজার ধন-ধান্ত অপহৃত হইলে, চোর ধরিতে না পারিলে রাজাকে নিজের ধনগার হইতে ক্ষতিপূরণ করিতে হইত। ইহাতে ব্রাহ্মণ শূদ্র ভেদ কোন রূপ লক্ষিত হইত না। এরূপ ভাবে রাজ্য পরিপালন ভারতেই সম্ভবে। গ্রীক মেগাস্থিনিস বলেন, আমাদের দেশ । প্রচুর পরিমাণে ধন ধান্যে, ও ফল মূলে পরিপূর্ণ ছিল ; সুতরাং দুর্ভিক্ষ কখনও আমাদের দেশে পদার্পণ করিতে সমর্থ হইত না । সে কালের রাজার পরস্পর ঘোরতর যুদ্ধ করিলেও র্তাহারা হিন্দুর ন্যায় যুদ্ধ করিতেন। তাই যুদ্ধকালে ক্ষেত্র সকল কর্ষিত হইত। শষ্য সকল বিধ্বস্ত হইত না। প্রজা যদি দুর্ভিক্ষে অথবা মহামারীতে পীড়িত হইত, তাহা হইলে সে রাজার নিন্দার সীমা থাকিত না। তিনি কুৰূপতি নামে অভিহিত হইতেন । সমদৰ্শী বিজ্ঞ ব্রাহ্মণের রাজ্যের বিচার কার্য্য নির্বাহ করিতেন। গ্রীক দূত বলেন, এদেশের লোকেরা চুক্তি ভঙ্গ, বা বিশ্বাস ঘাতকতাদি সম্বন্ধে কোন মকৰ্দমা করেন। সুতরাং ব্রাহ্মণ বিচারপতিগণকে বিচারাসনে উপবেশন করিতে হইত না । ভারতবাসীর গৃহে, সম্পত্তি প্রভৃতি অরক্ষিত অবস্থায় পড়িয়া থাকে, কোন দ্রব্য অপহৃত হয় না