পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/৩২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতে অলিকসন্দর । هلان " পালন না করিলে পতিত হইতে হইবে, ভাবিয়া ক ৰ্ত্তব্য পালন করিতেন। যে 'দেশের নরপতির বাৰ্দ্ধক্যে রাজ ঐশ্বৰ্ষ্য পরিত্যাগ করিয়া ঈশ্বর উপাসনায় জীবন অতিবাহিত করিতেন; সে দেশের রাজার, অল্পদিনের জন্য যথেচ্ছাচারী হওয়া সম্ভবপর নহে । বেণাদির ন্যায় যে সকল মহীপতি, প্রজাপীড়ন করিয়| সকলের বিরাগ ভাজন হইতেন, বলাবাহল্য র্তাহাদিগের পরিণাম ও অত্যন্ত শোচনীয় হইত ! যে দেশের জন সাধারণ যে হস্তে রাজাকে দেবতার ন্যায় পূজা করিত, আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে, সেদেশে অত্যাচারী নরপতিকে দণ্ডপ্রদান করিবারজন্য, তাহারাই আবার সেই হস্তে, অস্ত্রগ্রহণ করিয়া ভৈরব মূৰ্ত্তি ধারণ করিত। গ্রীকের আমাদের দেশে প্রজাতন্ত্রের রাজ্য দেখিয়াছিলেন। বৰ্ত্তমান কালে আমাদের অনেকের কাছে ইহা অত্যন্ত অদ্ভুত বলিয়। বিবেচিত হইয়া থাকে। পঞ্চায়িৎ প্রথার জন্মভূমিই আমাদের দেশ। দেশে রাজা থাকুন আর নাই থাকুন, উভয়স্থলেই, সংসারে র্যাহাদিগের কোনরূপ বাধ্য বাধকতা নাই ; এরূপ অনাসক্ত চিত্ত ব্রাহ্মণ সভ কর্তৃক রাজকাৰ্য্য সকল নিৰ্ব্বাহিত হইত। সুতরাং সে , দেশে অত্যাচার বা অবিচার হওয়া সম্ভবপর নহে। বৰ্ত্তমান কালে আমরা বিদেশী, নিৰ্ব্বাচন প্রথার নামে আত্মহারা হইয়া পড়ি। জন সাধারণ কর্তৃক যাহার নির্বাচিত হয়, তাহদের সহিত জন সাধারণের কিরূপ সম্বন্ধ, এই সকল সভ্যের সহিত, ইহাদের নির্বাচিত মন্ত্রি সভীর সহিত ব। কিরূপ সম্বন্ধ, তাহ একটু ভাল করিয়া দেখিলে, ইহার প্রতি অশ্রদ্ধা উপস্থিত হইয় থাকে। জন সাধারণ কর্তৃক যাহার নিৰ্ব্বাচত হয়, তাদের বিশেষ কোন গুণের আবশ্যক হয় না ।