পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/৩২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

F ৩১২ ভারতে অলিকসন্দর বার জন্য একটি জাতি প্রস্তুত করা হইয়াছিল। আবার যাহাতে তাহারা বিপথগামী না হন, এজন্য আমাদের সে কালের লোকেরা বলিতেন যে, ক্ষত্ৰতেজের সহিত ব্ৰহ্মতেজ মিলিত হইলে, সেই সম্মিলিত শক্তি দেশের অভু্যদয়ের কারণ স্বরূপ হইয়া থাকে। এরূপ রাজশক্তির, অথবা রাজ্যের বিপত্তিতে দেশের লোক সে কালে উপবাস করিয়া সহানুভূতি প্রকাশ করিতেন # । আমাদের দেশ, চিরকালই সমৃদ্ধি সম্পন্ন ছিল। অর্থের সমতা সংরক্ষণ জন্য, দেশের ভিতর একটা আনন্দের উৎস স্থায়ী রূপে প্রবহমান রাখিবার জন্য, সে কালে বড় বড় যাগ যজ্ঞ সৰ্ব্বদাই অনুষ্ঠিত হইত। বড় বড় রাজার, সে কালে বিশ্বজিৎ যজ্ঞের অনুষ্ঠান করিয়া সৰ্ব্বস্ব দান করিয়। ইচ্ছাপূর্বক নিঃস্তুহইতেন। একজনের অগাধ ধন, সাধারণের কল্যাণ কল্পে সমস্ত দেশের মধ্যে বিতরিত হয়। পৃথিবীর ইতিহাসে, এরূপ ব্যাপার এক ভারতবর্ষ ব্যতীত অপর স্থানে কখন লিখিত হয় নাই । অলিকসন্দরের প্রায় সহস্র বৎসরের পর, অামাদের কান্তকুজের অধিশ্বর মহাবাহু হর্ষবৰ্দ্ধন ( শ্ৰীহৰ্ষ) যাহা করিয়াছেন, তাহাও পৃথিবীর অপর দেশের ইতিহাসে অদ্ভূত ব্যপার। প্রতি পঞ্চমবর্ষে প্রয়াগক্ষেত্রে, ৭৫ দিনে তাহার অতুল ঐশ্বৰ্য্য ব্রাহ্মণ, শ্রমণ এবং দরিদ্র প্রজাগণ মধ্যে বিতরিত হইত। শেষের দিনে মহারাজ আপনার বহুমূল্যের পরিচ্ছদ ও আভরণ দান করিয়া অপরের নিকট হইতে সামান্য বস্ত্রগ্রহণ করিয়া বলিতেন, “আজি الأسس صطـط. r- i.o.

  • রাজ্যব্যসনে লাশ্মীয়াৎ। ৬৮ অধ্যায়,বিষ্ণুসংহিতা।