পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀՏ) ভারতে অলিকসন্দর । বেড়াইয়াছিলেন—শয়নকালে পাছে সঙ্গচু্যত হন এই জন্য অলিকসন্দর ইহ তলবারের সহিত শিয়রে করিয়া শয়ন করিতেন । এই ইলিয়দের সঙ্গ ফলে অলিকসন্দর জগজ্জেত হইয়াছিলেন । অলিকসন্দর, পারস্তাধিপতিকে পরাজয় করিয়া তাহার বহুমূল্য রত্নখচিত যে রত্নাধার প্রাপ্ত হন, সেই রাধারে তাহার অমূল্য রত্ন ইলিয়াদ রক্ষা করিয়া সেই রাধারের মূল্য বৃদ্ধি করিয়াছিলেন, সেই গ্ৰন্থখানি অলিকসন্দারের আজীবন সহচররূপে অবস্থান করে। অলিকসন্দর সাধারণতঃ রাজনীতি, সমাজনীতি, লোকযাত্র। প্রভৃতি লৌকিক বিদ্যায় অভিজ্ঞ হইয়াছিলেন, পারলৌকিক বিষয়ক জ্ঞান তিনি র্তাহার গুরুর কাছে কিছু পাইয়াছিলেন বলিয়া বোধ হয় না, তাহা যদি পাইতেন তাহা হইলে তাহার পাশব প্রবৃত্তি সকল উত্তরকালে কখনই সীম৷ অতিক্রমণ করিয়া বৃদ্ধি পাইতন । অলিকসন্দরের উচ্চ আশা, বাল্যকাল হইতে বদ্ধমূল হইয়াছিল। ফিলিপের বিজয়বাৰ্ত্তা যখন আনীত হইত, তখন ইহ শ্রবণ করিয়া অলিকসন্দর সঙ্গী বালকগণকে বলিতেন “বাবা যদি সব জয় করিলেন তবে আমরা কি জয় করিব ?” ইত্যাদি বলিয়া আক্ষেপ করিতেন । “আমি বড়মানুষের ছেলে” অলিকসন্দরের হৃদয়ে এভাবটাও বেশ ছিল, এর ব{প ফিলিপের এভাব বড় ছিল না। তিনি ওলিমৃফিক উৎসবে যোগ দিতে পশ্চাৎপদ হইতেন না। অলিকসন্দর দৌড়াইতে খুব মজবুত ছিলেন। এক সময় তাহাকে গুলিমূফিক উৎসবে দৌড়িবার জন্য কেহ অনুরোধ করেন, প্রত্যুত্তরে অলিকসন্দার বলেন “যদি কোন রাজপুল