পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/৩৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অলিকসন্দরের অবসান। ৩২৩ সংস্থাপন করিবার জন্য, দারার কন্ঠ স্তাতিরার পানিপীড়ন করেন; ইহার উদাহরণে র্তাহার আশি জন সেসানী, পারসীক সন্ত্রাস্ত বংশীয় কন্যার সহিত পরিণীত হইয়াছিলেন। দশ হাজার মাসিদন সৈনিক পুরুষও, পারসীক কন্যাকে বিবাহ করিয়াছিল। এই সকল ৰিজাতীয় বিবাহ ব্যাপার দেখিয়া সম্রাস্ত মাসিদনগণ অত্যন্ত বিরক্ত হন । অবশেষে তাহারা অলিকসন্দরকে পরিত্যাগ করিয়া স্বদেশে প্রত্যাগমন করেন । এই সময় তাহার প্রিয়তম বন্ধু হিপাস্তিয়ন, মৃত্যুমুখে পতিত হন। ইহাতে অলিকসন্দর অত্যন্ত ভগ্নহৃদয় হইয় পড়েন। অলিক সন্দরের অমিতাচার যথেষ্টরূপে বৰ্দ্ধিত হইয়াছিল, ইহাতে তাহার শরীর জর্জরিত হয়। হিপাস্তিয়ান বিয়োগে, তিনি যেন শক্তিশূন্ত হইয়া পড়িয়াছিলেন ; ব্যাবিলনে তাহার জর হয়, ইহার উপর মদ্য পানের তাহার বিরাম ছিল না, ব্যাবিলনে আসিতে নিষিদ্ধ হইয়াছিলেন, জরের সময় এই কথায় তিনি সম্ভবতঃ অভিভূত হইয়া পড়েন, তাহার জর্জরিত শরীর আর জরবেগ সহ্য করিতে পারিল না। খৃ পূ ৩২৯ অব্দে জুন মাসে প্রায় ৩৩ বৎসর বয়ক্রমে এবং ১৩বৎসর রাজ্য ভোগ করিয়া এই নশ্বর শরীর পরিত্যাগ করেন । অলিকসন্দরের ভারত পরিত্যাগের পর, ভারতবাসীর সন্মোহ দূর হইল, ধীরে ধীরে তাহারা নিজেদের অবস্থা বুঝিতে পারিলেন;N আত্মজ্ঞানের সহিত র্তাহাদের প্রচ্ছন্নশক্তির আবির্ভার হইল। অলিকসন্দরের প্রধান কৰ্ম্মচারী ফিলিপে ঘাতক নিহত হইলেন। বৈদেশিকদিগের নাম মাত্র .অধীনতাপাশ তাহাদিগের জল লাগিলন, তাই ছিন্ন কুরিবার