পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/৩৯

Nషి ভারতে অলিকসমদর .কাংশ ভাড়াটে এবং সখের নাগরিক সেনা—ডিমস্থিনিস ও স্বদেশের গৌরব রক্ষার জন্য যুদ্ধ করিতে গমন করিয়ছিলেন। বক্ত তাকালে তিনি যেরূপ তেজস্বিতা ও নির্ভিকতা দেখাইতেন, যুদ্ধকালে তিনি তাহার সম্পূর্ণ বিপরীতভাব দেখাইয়াছিলেন – তিনি সৰ্ব্বপ্রথমে রণে ভঙ্গ দিয়া অস্ত্রশস্ত্র পরিত্যাগ করিয়৷ কাপুরুষের ন্যায় পলায়ন করিয়াছিলেন। এই ঘোরতর যুদ্ধে গ্ৰীকগণ অকাতরে যুদ্ধ করিলেও বিজয় লক্ষ্মী ফিলিপের অঙ্কগত হন । অলিকসন্দর এই যুদ্ধে যথেষ্ট বীরত্ব দেখাইয়াছিলেন। গ্ৰীকবাসীর পরাজয়ের সহিত ফিলিপের উচ্চ আশার দ্বার অনর্গল হইল, এথেন্স ও থেবের দর্পচূর্ণ হইল, কাবেই আর কেই ফিলিপের বিরুদ্ধে দাড়াইতে সাহসী হইল না । সম্ভবতঃ ৩২৮ খঃপূঃ ভাদ্র মাসে এই যুদ্ধ হইয়াছিল। এই যুদ্ধে প্রায় তিন হাজার এথেন্সবাসী এবং প্রায় এতগুলি থেববাসী নিহত বা বন্দী হইয়াছিল। এই তিন হাজার বা ছয় হাজার লোকের অভাবে গ্রীসবাসী একেবারে হীনবীৰ্য্য হইয়। পড়িল । ইহা বড়ই আশ্চর্য্যের কথা, সে সময়ের এথেন্সবাসী লিখিতে, পড়িতে, বক্ততা, করিতে বা ভাস্কর কার্য্যে, অথবা সভ্যতা ভব্যতা সকল বিষয়েই মেসিদনবাসী অপেক্ষ অনেক অংশে শ্ৰেষ্ঠ ছিল । এ শ্রেষ্ঠতা তাহাদিগের সন্মান রক্ষা করিতে সমর্থ হয় নাই—এ শ্রেষ্ঠতার সহিত যদি তাহাদিগের বাহুবলের বুদ্ধি প্রাপ্ত হইত, তাহ হইলে আর তাহাদিগকে অসভ্য মাসিদুনিয়ার হস্তে লাঞ্ছিত হইতে হইত না। . . § • এরূপ কথিত আছে যে এই যুদ্ধের পর ফিলিপ পক্ষীয় যে সকল লোক সন্ধিসংস্থাপনের জন্য এথেন্সে গমন করিয়াছিলেন,