পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীরাঙ্গনার বুদ্ধি । 8S থেববাসীরা সৈন্যসহ অলিকসন্দরের আগমন কথা অবগত হইলে, কেহ ইহা বিশ্বাস করিল না, কেহ মনে করিল এন্টিপিটার আসিয়াছে, কেই বলিল আলিকসন্দর বটে কিন্তু এ স্বতন্ত্র আলিকসন্দর বলিয়া উপেক্ষা করিতে লাগিল । আলিকসন্দর পর দিবস থেবের উপকণ্ঠে সৈন্য সহ উপস্থিত হইলেন। বিদ্রোহের প্রধান নায়ক ফোনিক্স ও প্রোথাইটিস নামক ব্যক্তিদ্বয়কে র্তাহার হস্তে অর্পণ করিলে পর সমস্ত বিষয় মিটমাট হইবে, ইহা তিনি থেববাসীকে অবগত করাইলেন। প্রত্যুত্তরে থেববাসী এণ্টিপিটার ও ফিলটকে, তাহাদের হস্তে প্রদান করিতে কহিয়া, গ্রীসের স্বাধীনতা সংরক্ষণ জন্য ঢাক বাজাইয়া সকলকে আহবান করেন। এই রূপে যুদ্ধ আরম্ভ হইয়াছিল। কেহ কেহ কহেন অলিকসন্দর কূটনীতির অনুসরণ করিয়া, ছলনা করিয়া র্থেব আক্রমণ করেন । থেববাসী প্রাণের আশা পরিত্যাগ করিয়া ঘোরতর বিক্রমে যুদ্ধ করিল, কিন্তু অলিকসন্দরের যুদ্ধনিপুণ সৈন্তগণের কাছে তাহাদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ হইল। থেব সমূলে ধ্বংস প্রাপ্ত হইল, ইহার বাড়ি ঘরের আর কোন চিকু রহিল না। অলিকসন্দরের ক্রোধ বহিতে ছয় হাজার, কেহ বলেন দশ হাঁজার, যোদ্ধ। ভস্মীভূত এবং তিরিশ হাজার বন্দী হইল। পরের অধীনতা স্বীকার করে নাই বলিয়া থেববাসী বন্দী ও নিগৃহীত হইল, এবং এই সকল নর হত্যা করিয়া অলিকসন্দর মহাবীর বলিয়া জগতে পরিচিত হইলেন। অলিকসন্দরের সৈন্যগণের অত্যাচার ও অবিচারের সীমা ছিলনা। একজনু বীরাঙ্গনার কাছে অলিকসন্দরের সৈনিক কিরূপ ভাবে লাঞ্ছিত হইয়াছিল"