পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ર ভারতে আলিকসন্দর ‘তাহ আমরা এখানে উল্লেখ করিব। আলকসন্দারের সৈন্তগণ একজন থেবের ধনবতী রমণীর যথা সৰ্ব্বস্ব ধন রত্ন লুণ্ঠন করে, অবশেষে সেই সেনাদলের সেনানায়ক তাহার সতীত্ব রত্ন নষ্ট করিয়া, তাহার পার্থিব ধনরত্ন কোথায় আছে তাহ অবগত হইবার জন্য পীড়ন করে । নগর অধিকারের পূৰ্ব্বে বাগানের কুপের ভিতর তিনি তাহার বহুমূল্য ধন রত্ন নিক্ষেপ করিয়াছেন। এই কথা শুনিয়া সেনানী তাহাকে কূপ দেখাইবার জন্য আদেশ করেন। কূপ দেখাইলে সেনানী স্বয়ং তাহার ভিতর অবতরণ করিলে রমনী প্রস্তর নিক্ষেপ করিরা তাহাকে হত্যা করে । এই দৃশ্য সৈন্যগণ দূর হইতে দেখিতে পাইলে, সেই রমনীকে দৃঢ়রূপে বন্ধন করিয়া অলিকসন্দরের কাছে লইয়া যায়। অলিকসন্দর রমণীর আকার দেখিয়া তাহার পরিচয় জিজ্ঞাসা করেন। প্রত্যুত্তরে রমনী বলিলেন “যিনি গ্রীসের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য সৈন্যসকল পরিচালনা করিয়া চ্যারোনিয়া ক্ষেত্রে ফিলিপের সহিত যুদ্ধ করিয়া সমর শয্যা গ্রহণ করিয়াছেন, আমি সেই থিওজিনিসের ভগিনী”—অলিকসন্দর রমণীর ব্যবহারও প্রত্যুত্তরে প্রসন্ন হইয়া, প্রশংসা করিয়া পুত্ৰগণ সহ তাহাকে মুক্তি প্রদান করেন। এরূপ কথিত হয় অলিকসন্দর কবিবর পিণ্ডারের সন্ততিগণের প্রতি, আর যাহার। তাহার পক্ষপাতী ছিলেন তাহদের প্রতি অনুকম্প দেখাইয়াছিলেন। যে নগরের তিরিশ হাজার অধিবাসী কৃতদাসরূপে বিক্রীত হইয়া, অলিকসন্দরের কোষাগারে ১৫ লক্ষ ৫ হাজার টাকা নীত হইয়াছিল, সে নগরের দু দশ জন লোক কেমন করিয়া বিজেতার নিকট সম্মান গ্রহণ করিতে অগ্রসর হইয়াছিল, তাহা বুঝা বুদ্ধির আগে s