পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্ষুদ্র চিন্তা বাধা প্রদানে অসমর্থ | ○ > প্রকৃতি সকল দেশেই সমান। যে হৃদয়ে শক্ৰকৃত অবমাননার প্রতিশোধ লইবার প্রবল বাসনা স্থান লাভ করিয়াছে, অথবা স্বদেশের গৌরব দিগন্তরে প্রতিষ্ঠা করিবার পবিত্র চেষ্টা যে হৃদয়কে ব্যাকুলিত করে, সে হৃদয়ে স্ত্রী পুত্রের ক্ষুদ্র চিস্তা স্থান লাভ করিয়া মনুষ্যকে কখন কৰ্ত্তব্য পথ হইতে বিচলিত করিতে সমর্থ হয় না। সে সময় স্ত্রী পুত্রের চিস্ত ক্ষণকালের জন্যও অলিকসন্দরকে কৰ্ত্তব্য পথ হইতে স্থলিত করিতে সমর্থ হয় নাই। অলিকসন্দর, এণ্টিপিটারের হস্তে রাজ্য রক্ষার জন্য ১২ হাজার পদাতিক এবং দেড় হাজার অশ্বারোহী সৈন্য রাখিয়া এসিয়া বিজয়ের জন্য বহির্গত হন । একুশদিন পথ অতিক্রমণের পর, অলিকসন্দর, হেলিস পণ্ট ব। দারদেনেলিসের তট ভূমিতে উপস্থিত হন । ইহার দৈর্ঘ প্রায় ৪০ মাইল এবং বিস্তার হ্ল হইতে ৪ মাইল হইবে । ইহার তট উচ্চ না হওয়াতে পারাপারের পক্ষে বিশেষ অসুবিধাজনক নহে । যে স্থানে সেতু নিৰ্ম্মাণ করিয়া পারস্যপতি জেরাকপাস ইয়ুরোপ আক্রমণ করিয়াছিলেন, অলিকসন্দরও সেইস্থান হইতে এসিয়াতে গমন করেন। চতুর্দশ শতাব্দীতে এসিয়াবাসীরা এই স্থানে পার হইয়া দলে দলে গমন করিয়৷ ইয়ুরোপীয়গণকে পরাস্ত করিয়৷ ইয়ুরোপীয় ভূমি অধিকার করেন। গত শতাব্দীর প্রথম ভাগে ইংরেজ কবি বাইরণ ইহা সন্তরণ করিয়া পার হইয়াছিলেন । এই স্থান এইরূপ নানা কারণে পৃথিবীর সাহিত্যে স্মরণীয় স্থান লাভ করিয়াছে। অলিকসন্দর, দারদেনেলিসের তটে বেী নিৰ্ম্মাণু এবং ইয়ু, রোপের অধিষ্ঠাতৃ দেবতার পূজা করিয়া সৈন্তগণসহ, যাত্র