পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

☾Ꮼ ভারতে অলিকসন্দর হইত। তাহদের নায়কও দুইজন নিযুক্ত হইত। প্রত্যেক রেজিমেন্ট আবার পাচ শত করিয়া দুই দলে বিভক্ত হইয়। দুই জন দলপতি কর্তৃক পরিচালিত হইত। ইহার প্রত্যেক দল, আবার আটটি ক্ষুদ্র দলে বিভক্ত হইত, তাহাদের সেই আট দলে আটজন নায়ক অবস্থান করিত । সমস্ত সৈন্য श्ं পক্ষে বিভক্ত হইত। অলিকসন্দর, প্রায় অধিকাংশ সময় দক্ষিণ পক্ষের শেষ ভাগে পরিচালনা করিতেন । যুদ্ধক্ষেত্র অনুসারে এই সকল ব্রিগেড কখন কখন বাম ভাগে কখন ব। দক্ষিণ ভাগে রাখা হইত। সেনানী পারমিনিও বাম পক্ষের সেনাপতিত্বে নিযুক্ত হইলেন । স্বয়ং অলিকসন্দর, দক্ষিণ পক্ষ পরিচালনা করেন । নদীর উভয়পক্ষের সৈন্যগণ কিয়ৎক্ষণ নির্বাক হইয়া পরম্পর নিরীক্ষণ করিতে লাগিল । অলিকসন্দরের সেনানীগণ নদীর তটে বেশীক্ষণ অপেক্ষ না করিয়া, সৈন্তগণসহ নদীমধ্যে অবতরণ করিলেন । তিনিও নিশ্চিপ্ত হইয়া থাকিতে পারিলেন না—চতুদিকে রণবাদ্য বাজিয়| উঠিল, যুদ্ধ দেবতার নাম কীৰ্ত্তনে তুমুল কোলাহল উপস্থিত হইল । কাপুরুষগণের মধ্যে ও যেন অস্থায়ী উন্মত্তত আসিয়া তাহাদের যুদ্ধভীতি দূর করিয়া দিল । যে স্থানে পারসীক সেনানীগণ সমবেত হইয়া যুদ্ধ পরিচালনা করিতেছিলেন, যে স্থানে পারসীকগণ দৃঢ়তার সহিত অবস্থান করিয়া শত্রুর আগমনের অপেক্ষা করিতেছিলেন, অলিকসন্দর, সেই দিকে গমন করিবার জন্য নদীমধ্যে অবতরণ করিলেন। পারসীকগণ তটুের উপর হইতে শক্ৰ সৈন্তের উপর অজস্র অস্ত্রশস্ত্র লাঠি প্রভৃতি নিক্ষেপ করিতে লাগিল। মাসিদন সৈন্য দীর্ঘ - নূর