মৃত্যুভয় পরিত্যাগ করিয়া কর্ত্তব্যপথে অগ্রসর হইয়াছিলেন বলিয়া তাঁহারা অসাধারণ কার্য্য সকল সম্পন্ন করিয়াছিলেন। পৃথিবীর অদৃষ্ট চক্র যদৃচ্ছাক্রমে তাঁহারা পরিবর্ত্তণ করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন, এ কথা তাঁহাদের ইতিহাস যেন চিরকাল বজ্রনির্ঘোষে উপদেশ প্রদান করিবে।
ষষ্ঠ অধ্যায়
এসিয়া মাইনরের সামুদ্রিক প্রদেশ, গ্রীক উপনিবেশে অধ্যুষিত ছিল। এসকল স্থানের গ্রীকগণ, অনেক সময় পারস্যপতির সহিত যুদ্ধ করিয়া, নিজেদের স্বাতন্ত্র্য রক্ষা করিত। আবার অনেক সময়, বৈতসবৃত্তি অবলম্বন করিয়া, নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করিয়া প্রাধান্য প্রতিষ্ঠার জন্য সুযোগের অপেক্ষা করিত। গ্রেণিকসে, অলিকসন্দরের জয়লাভের সহিত, ঔপনিবেশিক গ্রীকদিগের চিত্তচাঞ্চল্য উপস্থিত হইল। তাহারা প্রথম সুযোগে বিদেশী অধীনতা পাশ দূরে নিক্ষেপ করিয়া, স্বদেশবাসীর সহিত মিলিত হইল। অলিকসন্দর স্বয়ং শীঘ্রগতিতে লিডিয়া অভিমুখে গমন করিতে লাগিলেন। তাঁহার অন্যতম সেনানী পারমিনিওকে নিকটবর্ত্তী প্রদেশ ও দুর্গ সকল জয় করিবার জন্য প্রেরণ করেন। তিনি অল্প আয়াসে বিপক্ষদিগের দুর্গ জয় করিয়া অলিকসন্দরের নামের বিভীষিকা শত্রুগণের হৃদয়ে বদ্ধমূল করেন।