পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অটল বিশ্বাস।
৭৯

রাজবৈদ্য ফিলিপ,রাজার জীবনের আশা পরিত্যাগ করেন নাই। তিনি অনুমান করিয়াছিলেন, কোষ্ঠপরিষ্কার করাইতে পারিলে জ্বরও ইহার সহিত উপসর্গ সকল কমিয়া যাইবে। অলিকসন্দর, তাঁহাকে ঔষধ প্রস্তুত করিতে আজ্ঞা করিলেন। এই সময় পারমিনিও একখানি পত্র অলিকসন্দরের হস্তে প্রদান করেন। তাহাতে লিখিত হইয়া ছিল যে “ফিলিপ, পারস্যপতির উৎকোচে বশীভূত হইয়া ঔষধের সহিত বিষ প্রদান করিয়া প্রাণনাশ করিবে”। অলিকসন্দর পত্রপাঠ করিয়া কিছুমাত্র বিচলিত হইলেন না। ফিলিপ ঔষধ প্রস্তুত করিয়া আনিলে তিনি তাঁহাকে পত্রখানি পাঠ করিতে দিয়া স্বয়ং অবিকৃত বদনে ধীরে ধীরে ঔষধ পান করিতে লাগিলেন। পত্রপাঠকালে ফিলিপের মুখে কোনরূপ ভীতির লক্ষণ দেখিতে পাওয়া গেল না। ফিলিপ যে নির্দ্দোষ ইহা বুঝিতে কাহারও বাকি রহিল না। অল্প সময়ের মধ্যে অলিকসন্দর সম্পূর্ণরূপে আরোগ্য লাভ করেন। এ সময়ের অলিকসন্দর চরিত্র অতীব বিস্ময়জনক, তিনি বোধ হয় বিবেচনা করিয়াছিলেন, যে স্বদেশবাসীর কল্যাণ-কল্পে তিনি জীবন উৎসর্গ করিয়াছেন, সেই স্বদেশবাসী যদি নিজের দুইদিনের নারকীয় উন্নতির জন্য, বিপক্ষ প্রদত্ত অর্থে মোহিত হইয়া তাঁহার হত্যা চেষ্টা করেন, তাহা হইলে এরূপ অবস্থায় মৃত্যুই আলিঙ্গনের বিষয়। সেইজন্য কি তিনি নির্ভয়চিত্তে ঔষধ পান করিয়াছিলেন? সে যাহাহউক এ সময় অলিকসন্দর, তাঁহার পক্ষের লোকের উপর অটল বিশ্বাস অনন্য সাধারণ, কিছুদিন পরে এই চরিত্র কিরূপ কলুষিত ঘৃণিত ও নীচত্বকে প্রাপ্ত হইয়াছিল তাহাও দেখাবার বিষয়। নয়বৎসর পরে হিপাস্তিয়ন, জ্বরে, পঞ্চত্ব লাভ