পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S. ভারতে অলিকসন্দর বা পয্যাপ্ত ধন সম্পদের কিয়দংশ অপহরণ করিয়া লইয়া যাইতে সমর্থ হইয়াছিল, সেই সকল অশান্তিপূর্ণ ঘটনা লিপিবদ্ধ করা আমাদের পূর্বজের যুক্তিযুক্ত বিবেচনা করেন নাই। এই কাল সমুদ্রের অনন্ত তরঙ্গ প্রতি মুহূৰ্ত্তে উৎপন্ন হইয়াই কিয়ৎক্ষণ পরেই তাহ বিলীন হইয়া যাইতেছে । এইরূপ তরঙ্গের ঘাতপ্রতিঘাত গণনা, হিন্দুর স্বভাব বিরুদ্ধ, তাই তাহারা ইহ সংসারের ঘটনা পরম্পরা লিপিবদ্ধ করিবার ব্যর্থ চেষ্টা না করিয়া, পারলৌলিক উন্নতিকল্পে মনোনিবেশ করিতেন। স্বাধীন হিন্দুর এরূপ চেষ্টা প্রশংসাজনক হইতে পারে। কোন দস্থ্য বা তস্কর, সম্পন্ন গৃহস্থের যৎসামান্য বিষয় লুণ্ঠন করিয়া লইয়া গেলে, সেই সমৃদ্ধি সম্পন্ন ব্যক্তি যেরূপ অতি অল্পকাল মধ্যেই সেই দস্থ্যর অত্যাচারের কথা বিস্মৃত হইয়া থাকে, সেইরূপ অলিকসন্দর আদির ভারত আক্রমণ কথা, অতি অল্পকাল মধ্যেই তামাদের দেশের লোক ভুলিয়া গিয়াছিলেন। এই জন্যই আমাদের কোন গ্রন্থে অলিকসন্দরের কোনরূপ নামোল্লেখ নাই । এরূপ দমু্যর নাম কীৰ্ত্তণ করাও বোধ হয় তাহারা পাপজনক বলিয়৷ বিবেচনা করিতেন। মনুষ্যপরমায়ু অল্পকালস্থায়ী, এই সঙ্ক্ষেপ সময়ে দক্ষু্যকাহিনী চর্চা না করিয়া, তাহার পুণ্যচরিত্র আলোচন৷ করিয়া সময় অতিবাহিত করিতেন । তাহাদিগের নামোল্লেখ স৷ করিবার যে কোন কারণ থাকুক না কেন, তাহা জানিবার অামাদের বিশেষ আবশ্বক নাই। কিন্তু অলিকসন্দরের আক্রমণ রোধ করিবার জন্ত—প্রতি পদে তাহাকে বাধা দিবার জন্য, তাহার প্রদত্ত সম্মান ও অপমানের প্রতি কিঞ্চিম্মাত্র ক্ৰক্ষেপ না করিয়া * স্বদেশের কল্যাণের জন্য, ভারতবাসীরা কিরূপে আত্মোৎসর্গ