পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের দেব-দেউল আকারের পাথরের হর্শ্বিকা ( রৰ্ম্মিজ “টী”) স্থাপিত ছিল; সেই আধারের নিম্নভাগ স্তুপের বেড়ার অনুকরণে এবং উপরাংশ জানালার আকারে প্রস্তুত, মধ্যস্থল ফাঁপা, আধারটি তিনখণ্ড প্ৰস্তরের ঢাকনীর দ্বারা আচ্ছাদিত থাকিত। সম্ভবতঃ এই স্থানে কোন পবিত্র দ্রব্য রাখা ছিল । এই আধারের উপর প্রস্তরের ছত্ৰ ছিল। ইহার পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা, বর্ণনা ও পরিচয় ক্যাপটন জে. ডি. কানিংহাম সাহেবের প্রবন্ধে আছে ( এসিয়াটিক সোসাইট পত্রিকা, ১৮৪৭ খৃঃ, আগষ্ট মাস ) । স্তৃপটী ১২১ ব্যাসবিশিষ্ট এবং ১৪ ফুট উচু এক ঢালু। পোস্তার উপর নিৰ্ম্মিত। এই ১৪' উচ্চে ছয় ফুট বিস্তৃত প্ৰদক্ষিণ পথটি ক্রমশঃ কাটান দিয়া গঠিত হইয়াছে। পথটি প্রস্তরের, অভিনব আকারে পাথরের বেড়ার দ্বারা বেষ্টিত, এবং টিলার উপর হইতে একটি পথ পোস্তার ঢালে ঢালে বিভক্ত হইয়া রেলিং-এর সংযোগস্থলে মিলিত হইয়াছে। এই পথটির মধ্যে কয়েকটি সোপান ও চাতাল রহিয়াছে । উৎসব-সময়ে শ্রমণ, ভিক্ষু, ভিক্ষুণী ও পরিব্রাজকগণ দলে দলে এই পথটি দিয়া প্ৰদক্ষিণ করিতেন। পুণ্যস্থান ও মন্দির প্রদক্ষিণ করার প্রথা হিন্দু ও জৈনগণের মধ্যেও প্রচলিত রহিয়াছে। স্তুপটির মধ্যস্থল গোলাকার, ইষ্টক-দ্বারা নিৰ্ম্মিত, কাদার গাঁথুনী, বহির্ভাগ ছাটাই পাথরের দ্বারা মণ্ডিত, কতক অংশে চুণের পলস্তারা লাগান হইয়াছিল। পূর্বে এই সব চূণ-কায্যের উপর নানা লতা-পাতা ও বুদ্ধদেবের জীবন-লীলার ছবি অঙ্কিত ছিল। সঁচাতে প্ৰধান ভূপটির অপেক্ষা ছোট আরও দুইটি স্তৃপ রহিয়াছে। দুইটি স্তুপের মধ্য হইতে স্মৃতিচিহ্নধার եՀ