পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( রেলিক বক্স ) পাওয়া গিয়াছে, তাহার ঢাকনীর উপর পরিচয় ক্ষোদিত আছে। এই লিপি পাঠ করিলে ভূপটির নিৰ্ম্মাণ-কাল এবং কাহার স্মৃতির উদ্দেশ্যে স্থাপিত ইত্যাদি ঐতিহাসিক তথ্য टवड व्७ या । ২নং স্তৃপ হইতে যে “ধাতুভাণ্ডে'র উদ্ধার হইয়াছে, তাহার ঢাকনীর উপর ‘কাশ্যপ’, ‘মধ্যম" (মস্কিম) ও ‘দন্দুভীশ্বরে’র নাম উৎকীর্ণ আছে। ( রয়েল এসিয়াটিক সোসাইটির ১৯০৫ সালের বিবরণ-পত্রিকার ৬৮৩ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য।) অশোকের রাজত্বকালে তৃতীয় বুদ্ধ-মহাসম্মিলনের অধিবেশন হয়। সম্রাট অশোকের নির্দেশে হিমবন্ত প্রদেশের ( হিমালয়ের ) যক্ষদের বৌদ্ধধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করাইবার জন্য এক বিরাট অভিযান হইয়াছিল। এই অভিযানের ভার ‘কাশ্যপাগোত্ৰা” ও “কোটিপুত’এর উপর অৰ্পিত হয়। তাহার সহিত মাত্মিম’, ‘দন্দুভীশ্বর, “সহদেব’ ও ‘মূলদেব এই চারিজন বৌদ্ধাচাৰ্য্য গমন করেন। হিমবন্ত প্রদেশে ধৰ্ম্মপ্রচার করিয়া প্ৰত্যাবৰ্ত্তনের পর তাহদের নির্বাণলাভ হইয়াছিল। এই প্ৰমাণ হইতে নিৰ্দ্ধারিত হয় যে, স্তুপটি অশোকের ঠিক পরবত্তী সময়ে প্ৰস্তুত হুইয়াছিল। সঁাচার ৩নং স্তুপটির অতি সুন্দর ভাবে সংস্কার করা হইয়াছে। স্তুপটি “মহামোগগল্লান ভূপ’ নামে পরিচিত। এই স্তুপটির খনন ও ংস্কারের সময়ে দুইটি হৰ্ম্মিক ( রেলিক বক্স ) পাওয়া গিয়াছিল। দুইটি আধারের মধ্যে বুদ্ধদেবের প্রিয় শিষ্য বন্ধু ও সহচরী মোগগল্লান ও শারিপুত্রের পবিত্ৰ দেহাংশ ও অস্থি রক্ষিত ছিল। একটি আধারের ঢাকনীর উপর ‘মহামোগগল্লান অপরটির উপর “শারিপুত্ৰ ব্ৰাহ্মী অক্ষরে মহামোগাগাল্লান ভূপ