পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেব-দেউল উডতীয়মান করিয়াছিল, তেমনি তাহারা অমল বুদ্ধ-চরিত ও বুদ্ধের উপদেশ শতসহস্ৰ গুহাতে, বিহারে, স্তন্তে ও প্রস্তরফলকে ক্ষোদিত করিয়া চিরস্থায়ী করিতে প্ৰয়াস পাইয়াছিল। সেইজন্য মানুষ আজিও বুদ্ধের চরণে অর্ঘ্য প্ৰদান করিতেছে ; “আজিও আৰ্দ্ধজগত জুড়িয়া ভক্তিপ্ৰণত চরণে র্তার”। সেই বৌদ্ধদেরই অনুকরণে ও প্রেরণাতে হিন্দুরা দেবমন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়া শিল্প-জ্ঞানের সাধনা করিয়াছিল। যেমন ঋষি ও সাধকেরা তাহদের তত্ত্বজ্ঞানের আলোক কাব্যে, সাহিত্যে ও গাথায় বিকীর্ণ করিয়াছিলেন ; তেমনি হিন্দু শিল্পীরাও ঐকান্তিক আগ্রহে নিজেদের সমস্ত দুঃখ, দৈন্য, শোক ও তাপ অগ্রাহ্য করিয়া, হৃদয়ের স্বার্থপরতা, দ্বেষ, হিংসা ও লোভ ত্যাগপূর্বক পুরুষ-পরম্পরাক্রমে ও শিষ্য-পরম্পরায় কঠোর তপস্যায়, ঐকান্তিক সাধনায় ধ্যানলব্ধ ধনকে পাষাণে রূপান্তরিত করিয়া ধন্য হইয়াছে। গুপ্ত, পাল, সেন, চালুক্য, চোল, পল্লব, নায়ক, গঙ্গা আদি রাজবংশের উৎসাহে মধ্যভারতে, উড়িষ্যায় ও বাংলায় শিল্পিগণ আপ্ৰাণ চেষ্টায় ও কৌশলে যে-সব শিল্পের উৎকর্ষ সাধন করিয়াছিল। তাহ যেমন সজীব তেমনি সৌন্দৰ্য্যময়। দেশ-বিদেশের শত শত দর্শককে এখনও সেই সব শিল্প অপার আনন্দ প্ৰদান করে। সেই সব শিল্প-নিপুণতার নিদর্শন আজও বিশ্ববাসীকে চমৎকৃত করিয়া দেয় । কোণারকের সূৰ্য্যমন্দির, পুরীর জগন্নাথের ও ভুবনেশ্বরের লিঙ্গরাজের মন্দিরসমূহ, খাজুরাহের কন্দৰ্য্য মহাদেবের মন্দির, ভীলসার উদয়গিরির গুহা, অজন্তার চৈত্য, ইলোরার কৈলাস-মন্দির, জব্বলপুরের (ł