পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/৩০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মন্দিরের পূর্বকথা হিন্দুর দেবারাধনার চারিটি বিশেষ ধারা পর পর চারিটি যুগে প্ৰবৰ্ত্তিত হইয়াছিল। প্ৰথম বৈদিক যুগে হিন্দুরা প্ৰকৃতির পূজায় ও নানা প্রকার যজ্ঞ-ক্রিয়াতে র্তাহাদের সাধনা নিবদ্ধ রাখিয়াছিলেন। তাহার পর ব্ৰাহ্মণ-যুগে হিন্দুগণ নানাবিধ ত্যাগ ও পশুবলির প্রথা প্ৰচলিত করিয়া তাহাদের সাধনার ধারা প্ৰবাহিত করিয়াছিলেন । তাহার পর উপনিষদের হিন্দুগণ ব্ৰহ্মজ্ঞান-লাভের ও ব্ৰহ্ম-সাক্ষাতের চিন্তায় তঁহাদের সাধনা নিবন্ধ রাখিতেন। নিভৃত স্থানসমূহই সে যুগে সাধন-ভজনের প্রকৃষ্ট স্থান বলিয়া বিবেচিত হইত । তৎপরে বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্রভাব বিস্তৃত হওয়াতে হিন্দুধৰ্ম্মের উপর প্ৰবল আলোড়ন বহিয়া যায়। অশোকের সময়ে বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্রচার ও প্ৰতিপত্তি সর্বাধিক হইয়াছিল । তাহারই পর মনু হিন্দুধৰ্ম্মকে নানা অনুশাসনে, রীতি, নীতি ও পদ্ধতিতে আবদ্ধ করিয়া ফেলিয়াছিলেন। ২৫০ খৃঃ পূঃ অব্দের পর হইতে হিন্দুধৰ্ম্মের এক নবরূপ প্রচলিত হয়, তখনই মূৰ্ত্তি-পূজা ও হিন্দু দেবদেবীর মন্দির-স্থাপন ব্যাপকভাবে আরম্ভ হয় । ভিতরগাও ও শিরপুরের ইটের মন্দির ৪র্থ ও ৭ম শতাব্দীতে নিৰ্ম্মিত হয় । নানা স্বাধীন রাজবংশের উত্থান ও পতনের সঙ্গে দেবদেউলের ধ্বংসের ইতিহাস বিজড়িত। তাহদের কাহিনী অফুরন্ত । রাজ-অনুগ্রহ ও রাজ-ধৰ্ম্মের প্রভাব না থাকিলে কোন ধৰ্ম্মের প্রসার হয় না। সেই জন্য ভারতের চালুক্য, পাণ্ড্য, কেশরী, চোল, গুপ্ত, হুণ, পাল, সেন, মগধ, মালব, রাজপুত, পাঠান, মোগল, শিখ আদি রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় ভারতে SNOG