পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইলোরা প্রাচীরচিত্রে গণপতি, পাৰ্বতী ও সূৰ্য্যমূৰ্ত্তি ক্ষোদিত। প্রত্যেকের হস্তে প্ৰস্ফুটিত পদ্ম এবং দুই পার্শ্বে দুইটি অনুচর। অন্য প্রাচীর-চিত্রগুলিতে শিব ও পার্বতী ; মহিষাসুর ; অৰ্দ্ধনারী ; চতুভূজা ভবানী ব্যাম্রোপরি বসিয়া আছেন, হস্তে ত্ৰিশূল ও ডমরু শোভা পাইতেছে। সুদৃশ্য গণপতি, কালীমূৰ্ত্তি ও যজ্ঞকুণ্ডে প্ৰজ্বলিত অগ্নির সম্মুখে তপস্যায় রত জলপাত্ৰ-হস্তে তপস্বিনী উমার মুখমণ্ডল ক্ষোদিত করিয়া সেই সময়ের শিল্পিগণ অপূর্ব শিল্পপ্রতিভার পরিচয় প্ৰদান করিয়াছেন। এই গুহার অনেক স্তম্ভের গাত্ৰে নানা পত্র ও পুস্প ক্ষোদিত হইয়া অপূর্ব সৌন্দৰ্য্য সৃষ্টি করিয়াছে। সেই যুগের শিল্পীদের সৌন্দৰ্য-জ্ঞান যে কত উচ্চাঙ্গের ছিল তাহা এই গুহার কারুকাৰ্য্য প্ৰতিপন্ন করিতেছে । যম-ভয়ভীত মার্কণ্ডেয় শিবলিঙ্গকে আলিঙ্গন করিয়া রহিয়াছে, সেই শিবলিঙ্গ ভেদ করিয়া শিবমূৰ্ত্তি বহির্গত হইয়া আশ্রিতকে অভয় প্ৰদান করিতেছে, অদূরে যমরাজ সন্ত্রস্ত হইয়া দণ্ডায়মান—এই চিত্রটি অতি সুনিপুণ ও সুন্দরীরূপে একখানি পাহাড় হইতে ক্ষোদিত হইয়া অপূর্ব রূপ ধারণ করিয়াছে। ইহা উক্ত পৌরাণিক কাহিনীটিকে যেমন চিত্তপটে অঙ্কিত করিয়া দেয়, তেমনই শিবের মহিমায় দর্শকের মন পরিপূর্ণ হইয়া উঠে। এই গুহাটির পাশ্বেই। ৭ নং “রামেশ্বর গুহা। এই গুহাটি সম্পূর্ণই শৈব মন্দির। একটি পাহাড় কাটিয়া তাহারই অভ্যন্তরে গুহাটি নিৰ্ম্মিত। মাঝখানে প্ৰকাণ্ড হল বা দালান । দালানের অভ্যন্তরে এক কোণে কালী, গণেশ, হর ও পার্বতীর মূৰ্ত্তি অতি সুস্পষ্টরূপে TS) द्वंद्र ९: