পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের দেব-দেউল চতুর্থ গুহাটি ধ্বংসোন্মুখ অবস্থায় রহিয়াছে। এখানেও বুদ্ধ একটি প্রস্ফুটিত পদ্ম-পুষ্পের উপর ধ্যানমগ্ন অবস্থায় বসিয়া আছেন। মন্দিরদ্ধারের পশ্চিমে বুদ্ধদেবের পার্শ্বচর পদ্মপাণি বুদ্ধের ন্যায় ধ্যানমগ্ন অবস্থায় অবস্থিত। পঞ্চম গুহাটির নাম ‘মহাদ্ধা’ (Mahardwa) বিহার। এইটি বৃহদায়তনের বিহার, ১১০ ফুট দৈর্ঘ্যে ও ৫৮ ফুট প্রস্থে এবং দুই পাশ্বের্ণ দালান পৰ্বতের অভ্যন্তরে ক্ষোদিত হইয়া গিয়াছে। ইহার ছাদ ২৪টি চতুষ্কোণ অতিকায় স্তম্ভের উপর অবস্থিত। দালানের চারিপার্শ্বে শ্রমণদের ২০টি থাকিবার কক্ষ এবং অভ্যন্তরে মস্ত-বড় ঠাকুরদালান। মধ্যে প্ৰকাণ্ড এক বুদ্ধমূৰ্ত্তি, তাহার চারিপার্শ্বে শিষ্যমণ্ডলী বসিয়া আছে। এই বিশাল আয়তনের গুহাটিও পর্বত কাটিয়া অভ্যন্তরে গিয়াছে। ষষ্ঠ গুহার ভিতরের কক্ষটি অতি মনোরম। তাহার ভিতরে বুদ্ধদেব সমাসীন, তাহার দুই পার্শে অনুচরগণ দণ্ডায়মান । এই গুহার প্রাচীরগাত্রের সরস্বতীমূৰ্ত্তিটি অতি অপরূপ। বাগদেবীর পার্শ্বে এক ময়ুর ও নীচে এক পণ্ডিতের মূৰ্ত্তি ক্ষোদিত রহিয়াছে। বীণাপাণির মুখমণ্ডলে কি সৌম্যভাব ! সপ্তম, অস্টম, ও নবম গুহা কেবল বৌদ্ধ শ্রমণ ও ভিক্ষুদিগের বাসের জন্য নিৰ্ম্মিত । ইহার মধ্যে কোন ভাস্কৰ্য্য নাই। দশম গুহাটি এতদঞ্চলের অধিবাসীদের পরম প্ৰিয়। এই গুহাটি ‘বিশ্বকৰ্ম্মা'-গুহা নামে খ্যাত । এই প্রদেশের সূত্রধরেরা প্রায়ই এই গুহাতে আসিয়া ইহার মধ্যস্থিত বুদ্ধমূৰ্ত্তিকে ‘বিশ্বকৰ্ম্মী'র মূৰ্ত্তিজ্ঞানে Հե՛ भश्च1-७छ् বিশ্বকৰ্ম্ম-গুহা