পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

কালধর্ম্ম এবং ইহার সাথে সাথে যে আসিয়া পড়িল বাহির হইতে আগত ইউরোপীয় শিক্ষাদীক্ষার চাপ, তাহাই ডাকিয়া আনিল ভারতের নব অভ্যুত্থান।

 এই অভ্যুত্থান বুঝিতে হইলে তবে মোটামুটি তিনটি ধাপের উপর আমাদের নজর দিতে হইবে। প্রথম হইতেছে, অতীতে ভারতের সেই সমুন্নত শিক্ষাদীক্ষা ও জীবনের মাধ্যন্দিন যুগ, আর তার পরে আসিয়া পড়িল যে জড়তা ও তামসিকতার সন্ধ্যা। দ্বিতীয় হইতেছে, পাশ্চাত্যের সহিত ভারতের প্রথম সংস্পর্শ,— যখন ভারত মরিয়া পচিয়া গলিয়া প্রায় লোপ পাইতে বসিয়াছিল। তৃতীয় হইতেছে, কিছুদিন হইতে একটা স্পষ্ট মূর্ত্তি লইয়া ফুটিয়া উঠিতেছে যে নবজীবনের স্পন্দন, যে উর্দ্ধমুখী গতি। একটি কথা এখানে স্মরণে রাখিতে হইবে এবং অনেকেই ন্যায্যতঃ এ কথাটির উপর জোর দেওয়া প্রয়োজন মনে করিয়াছেন। তাহা এই যে, ভারত চিরদিনই—এমন কি জাতীয় জীবনের ঘোর অবসাদের মধ্যেও, অক্ষত রাখিয়াছে তাহার অধ্যাত্মপ্রতিভা। এই বস্তুটিই ভারতকে রক্ষা করিয়াছে ভারতের প্রত্যেক সন্ধিমুহূর্ত্তে—আর আজকার যে নবজন্ম দেখা দিয়াছে, তাঁহারও গোড়ার অনুপ্রেরণা ঐ বস্তুটিরই মধ্যে।