পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

সার্থকতা। প্রথমতঃ, ইহারা হইয়া উঠিবে জীবনের সাধনক্ষেত্র অর্থাৎ মানুষের এখানে থাকিয়া জাগিবে নিজের সত্যস্বরূপকে দেবত্বকে জানিবার আকাঙ্ক্ষা, পাইবার প্রয়াস। দ্বিতীয়তঃ, ভাগবতসত্তার যে ধর্ম্ম, তাহাকে জীবনলীলার মধ্যে উত্তরোত্তর ফুটাইয়া ধরিতে থাকিবে ইহারা। তৃতীয়তঃ, এই সব আয়তনকে ধরিয়া মানুষ সমবেতভাবে উঠিয়া চলিবে জ্যোতির, শক্তির, শান্তির, একত্বের, সম্মিলনের দিকে; মানবজাতি অন্তরে চাহিতেছে যে দিব্য প্রকৃতি, তাহারই মধ্যে। আধ্যাত্মিক শিক্ষাদীক্ষা, জীবনে অধ্যাত্মের প্রয়োগ বলিতে আমরা যাহা বুঝি, তাহা হইতেছে এই, ইহা অপেক্ষা বেশী আর কিছু নয়, কিন্তু ইহা অপেক্ষা কমও নয়, এইটুকুর মধ্যে আছে যত সম্ভাবনা তৎসমস্তই।

 এই আদর্শে যাঁহাদের আস্থা নাই অথবা যাঁহারা ইহা বুঝিতেই পারেন না, তাঁহারা এখনও পাশ্চাত্যসুলভ জীবনকল্পনায় বিমূঢ় হইয়া আছেন। পাশ্চাত্যের বন্যা ভারতের নিজস্ব ভাবকে এক সময়ে যে ভাসাইয়া দিবার ব্যবস্থা করিয়াছিল, তাঁহারা আজও সেই স্রোতে গা ছাড়িয়া দিয়া চলিয়াছেন। কিন্তু আমাদের মনে রাখা উচিত যে, ইউরোপ ইতিমধ্যে নিজেই তাহার

৯৯