পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

পরিচিত গতানুগতিক সংস্কারকে ছাড়াইয়া উঠিবার চেষ্টা করিতেছে এবং সেই জন্য ঠিক প্রাচ্যেরই দ্বারস্থ হইতেছে। আমরা দেখিতেছি না কি, প্রাচ্যের আদর্শ প্রভৃতি—অবশ্য বাহ্যরূপ নয়, কিন্তু ভিতরের আসল ভাব বস্তু—কি রকমে আস্তে আস্তে ইউরোপের মধ্যে প্রসারিত হইয়া পড়িতেছে? পাশ্চাত্যের চিন্তা, কাব্য, শিল্পকলা, ব্যবহারনীতি সবই প্রাচ্যের রঙ্গে রঙ্গীন্ হইয়া উঠিতেছে? পাশ্চাত্যের উপর এই প্রাচ্যের বন্যা তাই বলিয়া পাশ্চাত্যের নিজস্ব শিক্ষাদীক্ষাকে ভাঙ্গিয়া ভাসাইয়া দিতেছে না, কিন্তু তাহাকে নূতন করিয়া, বৃহৎ করিয়া গড়িয়া তুলিতেছে। ইউরোপ যখন এই ভাবে নূতন সত্যের আলোকে নিজেকে গরীয়ান্ করিয়া ধরিবার চেষ্টা করিতেছে, অধ্যাত্মের তত্ত্ব সব ধীরে ধীরে স্বীকার করিয়া মানুষের ভিতরে বাহিরে একটা রূপান্তরের সাধনা করিতেছে, ঠিক সেই সময়ে আমরা ভারতবাসী কি ইউরোপের পরিত্যক্ত জীর্ণবাস বরণ করিয়া লইব, যে পথ চলিয়া সে ছাড়িয়া দিয়াছে, সেই পথেই চলিতে থাকিব, চিরকালই কাল যাহা সে ফেলিয়া দিয়াছে, আজ তাহা আমরা আদরে ঘরে তুলিয়া লইতে থাকিব? ইউরোপ যে মুহূর্ত্তে আমাদের উপর আসিয়া পড়িল তখন

১০০