পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

ক্ষেত্রে প্রয়োগ করিতে হইবে; আমাদের পূর্ব্বপুরুষদিগের অপেক্ষা কম নয়, যদি সম্ভব হয়, তবে বেশীই আধ্যাত্মিক হইতে হইবে। পাশ্চাত্যের বিজ্ঞানকে, যুক্তিকে, উন্নতিশীলতাকে, আধুনিক যুগের সকল মূল সত্যকেই আমরা গ্রহণ করিব, কিন্তু আমাদের নিজস্ব জীবনধারার উপর দাঁড়াইয়া, আমাদের অধ্যাত্ম আদর্শ ও লক্ষ্যের সহিত মিলাইয়া ধরিয়া। আমাদের চারিদিকে যে জীবনপ্রবাহ বিপুলস্পন্দনে ছুটিয়া চলিয়াছে, আধুনিক প্রাণে যত ঐহিক প্রেরণা, যত আধিভৌতিক কর্ম্মৈষণা খেলিয়া উঠিতেছে, তাহার মধ্যে আমরা ঝাঁপ দিয়া পড়িতে পারি; কিন্তু সে জন্য ঈশ্বর সম্বন্ধে, মানুষ সম্বন্ধে, প্রকৃতি সম্বন্ধে আমাদের যে মূল উপলব্ধি তাহা পরিত্যাগ করিতে হইবে কেন? দুইটির মধ্যে ত কোন বিসম্বাদ নাই। বরং তাহারা একটি আর একটির সহায়, পরস্পরের নিভৃত অর্থ রূপায়ন তাহারা পরস্পরে বিকশিত করিয়া তুলিতেছে, উভয়ে উভয়কে সমৃদ্ধ, ঐশ্বর্য্যপূর্ণ করিয়া ধরিতেছে।

 ভারত তাহার নিজত্বে প্রতিষ্ঠিত হইয়া, স্বধর্ম্মকে অনুসরণ করিয়াই নিজে উন্নত হইবে, জগতের সেবায় আসিবে। এই কথার অর্থ এমন নয়—সঙ্কীর্ণ মন লইয়া

১০৩