পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

পরিমাণে বাহ্যিক অনুষ্ঠান, শাস্ত্র, আচার নিয়মের দিকে ঝুঁকিয়া পড়িয়াছিলাম; অন্য দিকে আবার চলিয়া গিয়াছিলাম সন্ন্যাসের বৈরাগ্যের অতিমাত্রায়—ফলে, যাঁহারা ছিলেন শ্রেষ্ঠ তাঁহারাই সমাজ হইতে সরিয়া পড়িয়াছিলেন, প্রাচীন ঋষিদের মত তাঁহারা সমাজের পিছনে সমাজের অধ্যাত্ম প্রতিষ্ঠারূপে দাঁড়াইয়া, সমাজের উপর জ্ঞানের আলো, জীবনের শক্তি ঢালিয়া দিতে পারেন নাই। কিন্তু ভারতের দুরবস্থার মূল হেতু হইতেছে, একটা উদার বিস্তৃত অধ্যাত্ম প্রেরণার সঙ্কোচন, মুক্ত ও সতেজ বুদ্ধিবৃত্তির হ্রাস, মহৎ আদর্শের ক্রমিক অভাব, প্রাণশক্তির ক্ষয়।

 এক অর্থে হয়ত আমাদের মধ্যে ধার্ম্মিকতার অত্যধিক প্রাদুর্ভাবই হইয়াছিল। ধার্ম্মিকতা শব্দটি আমরা ইংরাজী ‘রিলিজন্’ (Religion) এর পরিবর্ত্তে ব্যবহার করিতেছি—‘রিলিজন্‌’ কথাটির ঠিক ভারতীয় প্রতিশব্দ কিছু নাই, ইহার সহিত বিশেষ একটা মতবাদ, আচার অনুষ্ঠান, বাহ্যিক সৎকর্ম্ম, পুণ্য আহরণ এই সব জড়িত। এই অর্থে ধার্ম্মিকতা ছিল খুবই। ধার্ম্মিকতা ছিল, কিন্তু ছিল না ধর্ম্ম। ধর্ম্ম বলিতে আমরা বুঝি আধ্যাত্মিক প্রেরণাকে পূর্ণ অখণ্ড ভাবে অনুসরণ করিয়া চলা, আর

১০৬