পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

ভারতকে যে চাপের ভার সহ্য করিতে হইয়াছে, অন্য কোন জাতি তাহাতে বহু পূর্ব্বেই দেহ-প্রাণ সমেত লুপ্ত হইয়া যাইত। এ কথা সত্য। কিন্তু তবুও স্বীকার করিতে হইবে যে, ভারত প্রাণে বাঁচিয়া থাকিলেও, দেহে তাহার ঘুণ ধরিয়া আসিতেছিল; জড়ত্বের আক্রমণে এক সময়ে মনে হইয়াছিল তাহার আত্ম-শোধনের সব শক্তি বুঝি পরাহত হইয়া যায়,—জড়ত্বই ত মৃত্যু! আবার যখন এই মুক্তির, নবজীবনের দিন আসিয়াছে তখন ভারতকে তাহার নিজস্ব প্রকৃতি, তাহার অন্তরাত্মার ধর্ম্মটি ধরিয়া রহিতেই হইবে। কিন্তু তাহার যে আকৃতি, যে দেহায়তন, সেখানে অনেক কিছুই পরিবর্তন ঘটিবে এমন সম্ভাবনা আছে। ভারতের সেই একই অন্তরাত্মা পুনর্জীবিত হইয়া নূতন একটা আধার গড়িয়া লইবে, তাহারই প্রেরণায় নূতন রূপ সব ফুটিয়া উঠিবে দর্শনে, শিল্পে, সাহিত্যে, শিক্ষায়, রাষ্ট্রে, সমাজে—ভারতের নবজন্মের ধরণ এই রকমেই হইবে বলিয়া মনে হয়। এই সব নূতন রূপ, অতীত ভারত যে সব সত্য প্রকাশিত করিয়াছে, তাহার বিরোধী হইবে না। কিন্তু প্রাচীন সত্যগুলিকে বিশুদ্ধ করিয়া পূর্ণতর করিয়া নূতন ভঙ্গীতে আবার প্রকাশিত করিবে।