আজ সে নূতন জ্ঞানের আলোকে সতেজ করিয়া ধরিতে পারে, তাহার পূর্ব্বতন সাধন-ধারায় যাহা কিছু ছিল জীর্ণ, অথর্ব্ব, তৎসমস্ত আজ সে সংস্কার করিয়া লইতে পারে। তাহার আধ্যাত্মিক আদর্শকে বাহিরের আক্রমণ হইতে রক্ষা করিবার জন্য যে জাঙ্গাল দেউল তুলিয়া দিয়াছিল, তাহাই পরে তাহার প্রকাশের বিস্তৃতির পথে অন্তরায় হইয়া উঠে; আজ সেগুলি ভাঙ্গিয়া ফেলিয়া তাহার অন্তরাত্মাকে সে দিতে পারে একটা মুক্তগতি, বিশাল লীলায়তন। ভারত যদি সঙ্কল্প করে, তবে মানবজাতি আজ যে সকল সমস্যা লইয়া বিব্রত কিংকর্তব্যবিমূঢ় হইয়া পড়িয়াছে, তাহাদের দিতে পারে একটা অব্যর্থ মীমাংসা, একটা নূতন নির্দ্দেশ। সে সব সমস্যা- সমাধানের মূল সূত্র যে রহিয়াছে তাহারই প্রাচীন জ্ঞানের মধ্যে। ভারতের নবজন্ম আজ ভারতের সম্মুখে এই যতখানি সুযোগ আনিয়া উপস্থিত করিয়াছে তাহা সম্পূর্ণরূপেই সে করায়ত্ত করিয়া উঠিতে পারিবে কি পারিবে না, তাহা জানেন ভারতের ভাগ্যবিধাতা।
পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/১১০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম