পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

 ভারতের এই যে পুরাণী প্রকৃতি, এই যে তাহার আপনকার অন্তরাত্মা, সেটি কি? সাধারণভাবে দেখিতে গেলে দেখা যায় যে, ভারতবাসীর চিন্তার ধরণে স্বভাবতঃই আছে কেমন তত্ত্বের দিকে, দার্শনিকতার দিকে ঝোঁক; প্রবল একটা ধর্ম্মপ্রাণতা, বৈরাগ্যময় ভাবুকতা তাহার যেন মজ্জাগত; তাহার দৃষ্টি সর্ব্বদাই আবদ্ধ; যেন একটা পারলৌকিক আদর্শে, এই জিনিষটিই ইউরোপীয়দের চোখে পড়িয়াছে এবং তাঁহারা এমনভাবে লিখিয়া ও বলিয়া থাকেন যেন ভারতের সমস্ত স্বভাব বা প্রকৃতি বা অন্তরাত্মা ইহারই মধ্যে। তাঁহাদের মতে ভারত কি? না, অসীমতার অনুভবে অভিভূত একটা তাত্ত্বিক, দার্শনিক, ধার্ম্মিক মন— জীবনের অনুপযোগী, স্বপ্নবিলাসী, অকর্ম্মা—‘মায়া’ নাম দিয়া কর্ম্ম হইতে, জীবন হইতে মুখ ফিরাইয়া লইয়াই সে চলিয়াছে। ভারতবাসীও কিছুকাল ধরিয়া অন্যান্য বিষয়ের মত এই বিষয়েও তাহার ইউরোপীয় শিক্ষকের ও গুরুর বাক্যে নির্ব্বিচারে সায় দিয়া আসিয়াছে। তাহার দর্শনের, তাহার সাহিত্যের, তাহার ধর্ম্মের কথা সে বুক ফুলাইয়া কহিতে শিখিয়াছে; কিন্তু আর সব বিষয়ে শুধু শিক্ষার্থী, অনুচিকীর্ষু হইতে পারিলেই নিজেকে কৃতার্থ মনে করিয়াছে। তার পরে ইউরোপই

১০