পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

আবার একদিন আবিষ্কার করিল যে, সৌন্দর্য্যে, শক্তিতে, অপরূপ একটা শিল্পকলাও ভারতের ছিল। কিন্তু এই পর্য্যন্ত। এতদ্ব্যতীত ভারতের আরও যে কিছু আছে বা থাকিতে পারে, তাহা ইউরোপের জ্ঞানগোচরে আদৌ আসিয়াছে কি না সন্দেহ। সুখের বিষয়, ইতিমধ্যে ভারত পরমুখাপেক্ষী হইয়া থাকার অভ্যাস ছাড়িতে আরম্ভ করিয়া দিয়াছে, মুক্তির পথে অগ্রসর হইতে হইতে নিজের চোখ দিয়া নিজের অতীতকে সে দেখিতে আরম্ভ করিয়াছে। ফলে অনতিবিলম্বেই তাহার বোধগম্য হইয়াছে যে, এতদিন সে যে ভাবে দেখিয়াছে অর্থাৎ যে ভাবে তাহাকে দেখান হইয়াছে, সেটি সম্পূর্ণ ভুল পথ। বাস্তবিক, জিনিষকে একান্ত এক দিক দিয়াই দেখিলে ভুল হইতে বাধ্য, আর সে ভুল পরিশেষে ধরা পড়েই। জর্ম্মণী সম্বন্ধেও কি এক সময়ে মনে হয় এই রকমের একটা ভুল ধারণা সর্ব্বসাধারণের ছিল না? দর্শনে ও সঙ্গীতে জর্ম্মণী খুব বড় বটে, কিন্তু জীবনের ক্ষেত্রে সে পথ ভুলিয়া আসিয়া পড়িয়াছে, কর্ম্মজগতের স্কুল উপকরণরাজির পূর্ণ ব্যবহার সে জানে না—সুতরাং সে হইতেছে স্বপ্ন-বিলাসীর, ভাবুকের, পণ্ডিতের জাত—সে জিজ্ঞাসু, অধ্যবসায়ী, কর্ম্মঠ সন্দেহ নাই, কিন্তু রাজনীতিক দক্ষতা

১১