পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

হিসাবে পঙ্গু—একদিকে কি মহান্, আর একদিকে আবার কি তুচ্ছ, এই জর্ন্মণী—admirable ridiculous Germany. কি নিদারুণ আঘাতে ইউরোপের এই যে ভুল ভাঙ্গিয়া গেল, তাহা আমরা জানি। ভারতের নবজীবন পূর্ণ প্রতিষ্ঠিত হইলে, ভারত-প্রতিভার সত্যকার প্রকৃতি ও সামর্থ্য দেখিয়াও ইউরোপের ভুল ভাঙ্গিবে— সেই একই রকম দারুণ আঘাতের ফলে নিশ্চয়ই নয়, কিন্তু তবুও যথেষ্ট মাত্রায় আশ্চর্য্য হইয়া যাইবার মত জিনিষ সেখানে মিলিবে।

 এ কথায় কোন সন্দেহই নাই যে, ভারতীয় চিত্তের আসল কলকাঠি হইতেছে আধ্যাত্মিকতা। অসীমের অনুভব তাহার জন্মগত। ভারত গোড়া হইতেই দেখিয়া বুঝিয়া আসিয়াছে—এমন কি, তর্কবুদ্ধির শুষ্ক বাদ বিচারের যুগে, ক্রম-ঘনায়মান অজ্ঞানের যুগেও এই সূক্ষ্মবোধ তাহার লোপ পায় নাই—যে জীবনের যত বাহ্যিক রূপায়ন, কেবল মাত্র তাহারই আলোকে জীবনকে যথাযথ ধরা যায় না, কেবলমাত্র তাহারই শক্তিতে জীবন যথাযথ যাপন হয় না। স্কুলের নিয়ম, স্কুলের শক্তির মহত্ত্ব সম্বন্ধে সে খুবই সজাগ ছিল; জড়-বিজ্ঞানের যে কি প্রয়োজন তাহা তাহার দৃষ্টিকে কখনও এড়াইয়া যাইতে পারে

১২