পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

নাই; দৈনন্দিন জীবনের জন্য যে সব শিল্পকলা দরকার তাহাতেও সে অকুশলী ছিল না। কিন্তু সে জানিত যে, স্থুল যতক্ষণ স্থুলের অতীত যাহা, তাহার সহিত সত্য সম্বন্ধে সম্মিলিত না হয়, ততক্ষণ স্থুল আপনার পূর্ণ ব্যঞ্জনা পায় না; সৃষ্টির যে জটিল বৈচিত্র্য তাহা পরিচিত মানুষী-সংজ্ঞার সহায়ে ব্যাখ্যাত হয় না, তাহা মানুষের স্থূল দৃষ্টির গোচরীভূত নহে; স্কুলের পিছনে, মানুষের নিজেরই ভিতরে আছে এমন আরও সব শক্তি, নৈমিত্তিক জীবনের সাধারণ জ্ঞানে, যাহা তাহার কাছে ধরা দেয় না; মানুষ নিজের সত্তার খুব সামান্য অংশেরই সম্বন্ধে সচেতন; দৃষ্টকে ঘিরিয়া রহিয়াছে অ-দৃষ্ট; ইন্দ্রিয়কে ঘিরিয়া রহিয়াছে অতীন্দ্রিয়—সসীমকে চিরদিনই ঘিরিয়া রহিয়াছে অসীম। ভারত আরও জানিত যে, আপনাকে ছাড়াইয়া উঠিবার শক্তি মানুষের আছে, বর্ত্তমানে সে যাহা, তাহা অপেক্ষা নিজেরই পূর্ণতর গভীরতর সত্ত্বা একটা লাভ করিতে সে পারে। ইউরোপ আজকাল মাত্র এই সব সত্য দেখিতে আরম্ভ করিয়াছে; তবুও এখনও এ সব সত্য তাহার কাছে এত বৃহৎ ষে, তাহার সাধারণ বুদ্ধির কাছে ইহা সহজ হইয়া পড়ে নাই। কিন্তু ভারতের দৃষ্টির সম্মুখে পূর্ণ ব্যক্ত ছিল

১৩