পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

কিন্তু কেবল সিদ্ধান্তে পৌঁছিয়াই ভারত সন্তুষ্ট হয় নাই, সিদ্ধান্তের সহিত সাধনার পথও সে বাহির করিয়াছে। যুক্তিসিদ্ধ যাহা, তাহার অব্যর্থ প্রয়োগ কি করিয়া হইতে পারে, যাহা ভিতরে বোধ মাত্র, তাহাকে জাগ্রতে শৃঙ্খলার সহিত প্রকট, স্থিরপ্রতিষ্ঠ করা যায় কি রকমে, জ্ঞানের ক্ষেত্রে এই বস্তুমুখী কর্ম্মকৌশল, এই ব্যবহারবুদ্ধিও ভারতের দার্শনিকতার ধাতুগত বিশেষত্ব। যুগের পর যুগ ভারত এই রকমে যে তাহার দিব্যদৃষ্টিকে ধরিয়া চলিয়াছে, উহাকে বাস্তবে পরিণত করিতে প্রয়াস করিয়া আসিয়াছে, এই অভ্যাসের ফলে তাহার আধ্যাত্মিকতার মধ্যে অব্যর্থ অঙ্গরূপে দেখা দিয়াছে, সূক্ষ্মের দিকে একটা প্রবল ঝোঁক, অসীমকে ধরিবার, অধিকার করিবার একটা দুর্দ্দমনীয় আকাঙ্ক্ষা— ইহা হইতেই আসিয়াছে ভারতের সে সদা জাগ্রত পারত্রিকবুদ্ধি, তাহার ঊর্দ্ধমুখী ভাবুকতা, তাহার ‘যোগ’-বিদ্যা, তাহার দর্শনের, শিল্পকলার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য।

 কিন্তু ভারতের অন্তরাত্মার ইহাই সবখানি ছিল না, হইবার কথাও নয়। পার্থিব লোকে যে আধ্যাত্মিকতার প্রকাশ, তাহা শূন্যের উপর গজাইতে পারে না।

১৫