পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

শেষ যেন সে কিছুতেই হইতে দিবে না—বিশ্রাম লইবার, হাঁপ ছাড়িবার, কিছুকালের জন্য শক্তি সংগ্রহের জন্য চুপ করিয়া নিস্তেজ হইয়া পড়িয়া থাকিবার প্রয়োজন যেন মোটেও সে অনুভব করে না। নিজের বাহিরেও সে আপনাকে ছড়াইয়া দিল। ভারতের নৌ-বহর সমুদ্র পার হইয়া চলিল। তাহার কাণায় কাণায় ভরা ঐশ্বর্য্য সম্পদ্ উপচিয়া গিয়া পড়িতে লাগিল জুডিয়ায়, মিশরদেশে, রোমরাজ্যে। সাগরের দ্বীপপুঞ্জ সব তাহার উপনিবেশ বক্ষে ধারণ করিল, দিকে দিকে ছড়াইয়া দিল তাহার শিল্প, তাহার কাব্য, তাহার ধর্ম্মমত। ভারতের পদচিহ্ন পাওয়া যায় মেসোপেটেমিয়ার বালুরাশির অন্তরে। তাহারই ধর্ম্ম গিয়া জয় করিল চীন, জাপান আর পশ্চিমে প্রসারিত হইয়া চলিল পালেস্তিন, আলেকসন্দ্রিয়া অবধি। উপনিষদের রূপকাবলী, বৌদ্ধদিগের মহাবাক্য প্রতিধ্বনিত হইয়া উঠিল খৃষ্টের কণ্ঠে। ভারতের মাটিতে যেমন, তেমনি ভারতের কর্ম্মেও সর্ব্বত্রই আমরা দেখিতে পাই এই অপরিমেয় জীবনীশক্তির উচ্ছ্বসিত প্রাচুর্য্য। ইউরোপের পণ্ডিতেরাই ত অনুযোগ করিয়া থাকেন যে ভারতের স্থাপত্যে, ভাস্কর্য্যে, শিল্পে, অভাব পরি-

১৭