পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

মাণের—ঐশ্বর্য্যকে রাখিয়া ঢাকিয়া দেখাইবার কোন ইচ্ছাই নাই সেখানে; শূন্যস্থান বা ফাঁক কোথাও নাই, প্রত্যেক ছিদ্রটি সে মণিমুক্তা দিয়া ভরিয়া দিয়াছে, প্রত্যেক অবকাশে ফুটাইয়া ধরিয়াছে অলঙ্কারের আতিশয্য। এই স্বভাব তাহার দোষের হউক কি গুণের হউক, সে বিচার আমরা করিতেছি না। আমরা বলিতেছি, ভারতের ছিল জীবনীশক্তির প্রাচুর্য্য, অন্তরে অনন্তের ভরাট আবেগ আর তাহারই অব্যর্থ পরিণাম হইতেছে ঐ স্বভাব। ভারত দুই হাতে তাহার ঐশ্বর্য্য বিতরণ করিয়া দিয়াছে, কারণ, না করিয়া তাহার উপায় ছিল না। নিখিল অনন্ত আপন আয়তনের এতটুকু ফাঁক পর্য্যন্ত জীবনীশক্তিতে, প্রাণের স্পন্দনে পরিপূর্ণ করিয়া ধরিয়াছে—কেন? কারণ, অনন্ত যে অনন্ত!

 কিন্তু এই যে চরম আধ্যাত্মিক-বোধ আর এই যে জীবনীশক্তির প্রাচুর্য্য, পার্থিব ভোগের সৃজনের আনন্দ —কেবল এই দুইটিই অতীত ভারতের ভাব-ধারার সবখানি নয়। উপরে ইন্দ্রনীল আকাশের প্রশান্ত অনন্ত বিস্তার আর নীচে গ্রীষ্মতাপে উত্তেজিত উর্ব্বর বনভূমির উচ্ছৃঙ্খল সম্পদ—ভারতের চিত্র এরূপ নহে। একযোগে এতখানি ঐশ্বর্য্য দেখিবার অভ্যাস যাহার নাই,

১৮