পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

তাহারই দৃষ্টিতে বোধ হয়, এই যে সব যায়গা জুড়িয়া অলঙ্কারে ভরিয়া রূপ ফলাইয়া তুলিবার প্রয়াস, ইহা কেবল উচ্ছৃঙ্খল আতিশয্যের বিলাস, এখানে তাল মানের, সুঠাম গঠনের, পরিষ্কার সামঞ্জস্যের নিতান্তই অভাব; এখানে আছে শুধু বিরাট হট্টগোল। ভারতের অন্তরের ছিল আর একটি ভাব-ধারা—সেটি হইতেছে সমর্থ বিচারবুদ্ধি। এই বৃত্তিটি তাহার একদিকে যেমন ছিল স্থির, আত্মস্থ, অন্যদিকে তেমনি ছিল বহুমুখী। একদিকে যেমন চলিত বৃহৎকে আলিঙ্গন করিতে, অন্যদিকে তেমনি চলিত ক্ষুদ্রের মধ্যে প্রবেশ করিতে; তাহা যেমন ছিল শক্তিমান, তেমনি ছিল নিপুণ—তত্ত্বকে যখন সে ধরিতে যায় তখন বিরাট বিশাল তাহার গতিচ্ছন্দ, আবার ক্ষুদ্র বস্তুকে লইয়া যখন তাহার কারবার, তখন সেখানে তেমনি পাই—পদে পদে পুঙ্খানুপুঙ্খ অতিসূক্ষ্ম অনুসন্ধিৎসা। এই যে বিচারবুদ্ধি, তাহার প্রধান লক্ষ্যই ছিল শৃঙ্খলার দিকে—তবে সে-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত ছিল ভিতরের একটা নিয়মের, বস্তুর অন্তরের সত্যের উপরে। ভারত ভিতরের, অন্তরের দিকে তাকাইয়া চলিয়াছে, সঙ্গে সঙ্গে সর্ব্বদা পরম নিষ্ঠা সহকারে পরীক্ষা করিয়া চলিয়াছে সেই ভিতরের অন্তরের জিনিষকে কি করিয়া

১৯