পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

মানুষের কাজে আসিতে পারে বা যাহাতে মানুষের মন আকৃষ্ট হইতে পারে, সমস্তই এখানে ছিল। এমন কি, অশ্ব ও হস্তী কিরূপে লালন পালন করিতে হয়, তাহার অতি পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্যবস্থা পর্য্যন্ত পাওয়া যায়। আর এই সব প্রত্যেক বিষয় লইয়া এক একটি পৃথক্ শাস্ত্র গড়িয়া তোলা হইয়াছিল, প্রত্যেক বিদ্যারই ছিল নিজের নিজের একটা পরিভাষা, নিজের নিজের একটা বিশাল সাহিত্য। বিষয় খুব বৃহৎ খুব প্রয়োজনীয় হউক আর অতি ক্ষুদ্র ও অকিঞ্চিৎকর হউক, সে সকলের চর্চ্চায় সর্ব্বত্রই সমভাবে ভারত ঢালিয়া দিয়াছে সেই একই উদার ঋদ্ধ সূক্ষ্ম চরম বিচারবুদ্ধি। এক দিকে ছিল তাহার একটা অতর্পণীয় কৌতূহল, জীবনের প্রত্যেক খুঁটিনাটি পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে জানিবার আকাঙ্ক্ষা; আবার আর একদিকে ছিল তেমনি শৃঙ্খলার উপর পরিপাটি করিয়া সাজান-গোছানর উপর একটা সহজ টান; সকল জ্ঞানের মধ্যে সামঞ্জস্য স্থাপন করিয়া, ঠিক ঠিক মাত্রাটি ছন্দটি ধরিয়া জীবনের পথে চলিবার একটা নিবিড় সঙ্কল্প। উপরে সমস্তকে ব্যাপিয়া ছিল ভারতের আপন মজ্জাগত সহজাত আধ্যাত্মিকতা, নীচে কর্ম্মজগতে তাহার ছড়াইয়া ছিল একটা অফুরন্ত প্রাণশক্তির সৃজন-প্রতিভা, সতেজ

২২