পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

জীবন-ধারার উদাত্ত আবেগ আর এই দুইএর মাঝখানে, দুইটির মধ্যে আদান-প্রদানের সেতু তুলিয়া ধরিয়াছিল এমন একটি সমর্থ, তীক্ষ্ণ, সতর্ক বিচারবুদ্ধি, যাহা কেবল যুক্তির ক্ষেত্রে নয়, কিন্তু কর্ত্তব্যের ক্ষেত্রে, রসজ্ঞতার ক্ষেত্রেও—এই তিনটি ধারার প্রত্যেকটিতে চরম সৃষ্টিতৎপরতাকেই অনুপ্রাণিত করিয়াছিল। প্রাচীন ভারতের শিক্ষাদীক্ষায় পাই যে অপরূপ সামঞ্জস্য, তাহা এই রকমেই গড়িয়া উঠিয়াছিল।

 ফলতঃ, এতখানি জীবনীশক্তি, এতখানি বিচারবুদ্ধি যদি না থাকিত তবে ভারত তাহার আধ্যাত্মিক প্রবৃত্তি লইয়া যাহা করিয়াছে, তাহা কখনও করিতে পারিত না। প্রাণশক্তি যেখানে অর্দ্ধমৃত, বুদ্ধিবৃত্তি যেখানে অবজ্ঞাত, নিপীড়িত, সেই রিক্ত মাটিতেই যে আধ্যাত্মিক-প্রতিভা সব চেয়ে ভাল ফুটিয়া উঠে—ইহা মস্ত ভুল ধারণা। এই ভাবে যে আধ্যাত্মিকতা ফুটিয়া উঠে, তাহার মধ্যে থাকে একটা অস্বাস্থ্যের, দুঃস্থতার অস্বাভাবিক উগ্রতা, পরিণামে তাহার একটা দারুণ প্রতিক্রিয়া আসিতে বাধ্য। বরং যে জাতি যত সমৃদ্ধ জীবন যাপন করিয়া আসিয়াছে, যত নিবিড়ভাবে চিন্তা করিয়া আসিয়াছে, সেই জাতির আধ্যাত্মিকতাও হয় তত সমুন্নত, তত

২৩