সুগভীর, তত বৈচিত্র্যময়, প্রতিপদে তত ফলপ্রসূ। ইউরোপ এই এতদিন ধরিয়া যে বিপুল জীবনীশক্তি, বিরাট চিন্তাশক্তির খেলাই থেলিয়া আসিয়াছে, তার ফলেই ত বর্ত্তমানে আজ দেখিতেছি, তাহার মধ্যে একটা সত্যকার আধ্যাত্মিক-জিজ্ঞাসা জাগিয়া উঠিবার উপক্রম হইয়াছে। ইউরোপের আধ্যাত্মিকতা একদিন ছিল জীবনরূপ মহাব্যাধির দীন ভিষক্, আজ শুধু সেই আধ্যাত্মিকতার মধ্যে ধীরে ধীরে ফুটিয়া উঠিতেছে একটা উদার গভীর প্রশান্ত দৃষ্টি। ভারতের অধ্যাত্মসাধনার ধারায় যে জিনিষটি ইউরোপের চোখে লাগে, তাহা হইতেছে বৌদ্ধেরা ও মায়াবাদীরা প্রচার করিয়াছেন যে বৈরাগ্য, জীবনের প্রত্যাখ্যান। কিন্তু স্মরণ রাখা উচিত যে, এটি হইতেছে ভারতের দার্শনিক চিন্তা-ধারার একটিমাত্র দিক্, আর এই দিক্টির উপর অত্যধিক জোর পড়িয়াছিল তখন, ভারত যখন অবনতির পথে। তা ছাড়া, আমরা পূর্ব্বেই বলিয়াছি, ভারতের জিজ্ঞাসাবৃত্তির ধরণই ছিল এই রকম, কোন একটি তত্ত্বকে পাইলে—সে তত্ত্ব আধ্যাত্মিক হউক আর আধিভৌতিক হউক—কেবল সেইটিকে ধরিয়া কতদুর কোথায় চলিয়া যাওয়া যায়, তাহা সে পরীক্ষা করিয়া
পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/২৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম
২৪