পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

দেখিতে চাহিত। প্রত্যেক বিষয়টিকে ভারত এই রকমে একান্ত করিয়া দেখিত, তাহার অন্তর্গত সকল খুঁটিনাটির পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যবেক্ষণের জন্যও বটে, আবার তাহার মধ্যে আছে কোন্ অনন্ত, কোন্ চরম নিত্য-সত্য,—কোন্ অতলের, কোন্ সমুচ্চের শেষ সীমা, তাহাই আবিষ্কার করিতে। ভারত জানিত যে, সাধারণ সহজ মানুষের মন হইতেছে তামসিক স্থিতিশীল—জ্ঞানের চিন্তার উপলব্ধির পথে নৃতনের প্রতি, অবাধ অগ্রগতির প্রতি তাহা বাধা দিয়াই দাঁড়ায়; আর মনের গতির মধ্যে একটা আতিশয্য, অতিমাত্রা না থাকিলে সে বাধা ভাঙ্গিয়া ফেলা যায় না। তাই ভারত এই আতিশয্যের অতিমাত্রার পথে চলিয়াছিল অসীম সাহসে অথচ অটুট পদবিক্ষেপে। তাই দার্শনিক চিন্তার, আধ্যাত্মিক উপলব্ধির প্রত্যেক ধারা, প্রত্যেক উপধারার জের শেষ পর্যন্ত সে টানিয়া চলিয়াছিল, সেই শেষ প্রান্ত হইতে সমগ্র সৃষ্টিকে কি রকম দেখায়, সেইখানে দাঁড়াইয়া কোন্ সত্য, কোন্ শক্তিকে অধিকার করা যায়, তাহা পরীক্ষা করিতে চাহিয়াছিল। ভারত যখন জানিতে চাহিল অতিপ্রাকৃতকে, পরাপ্রকৃতিকে, তখন প্রকৃতি ছাড়াইয়া যত উপরে দৃষ্টি নিক্ষেপ করা

২৫