পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

হইয়া বসিতেও তাহার কোন কুণ্ঠা হয় নাই। বিশেষ ভাব বা আদর্শ তাহার যতই প্রিয় হউক, বিশেষ আচার রীতি তাহার যতই অভ্যস্ত হউক, ভারতের জ্ঞানের দৃষ্টি কোন দিন তাহার মধ্যেই একান্ত বদ্ধ অন্ধ হইয়া পড়ে নাই। সমাজ-শৃঙ্খলার জন্য একদিন তাহাকে জাতি-ভেদের স্থূল কাঠামটিকেই আঁকড়িয়া ধরিয়া পড়িতে হইয়াছিল, কিন্তু তখনও সে এ ভুলটি করে নাই যে, মানুষের অন্তরাত্মাকে, মানুষের মনকে কখন জাতির পাঁতিতে বাঁধা যাইতে পারে। তখনও নীচাদপি নীচের মধ্যে সে দেখিয়াছে নারায়ণকে। ভারত বৈষম্যের উপর জোর দিয়াছে যেন ফিরিয়া আবার সেই বৈষম্যকে অস্বীকার করিবার জন্যই। অবস্থা ও প্রয়োজনের বশে রাষ্ট্রক্ষেত্রে একদিন তাহাকে রাজ-তন্ত্রকেই অত্যধিক পরিমাণে বড় করিয়া ধরিতে হইয়াছিল, রাজাকে ‘নর-দেবতা’ বলিয়াই ঘোষণা করিতে হইয়াছিল। দেশের শক্তিকে এক কেন্দ্রে সংহত না করিয়া, চারিদিকে খণ্ড খণ্ড ভাবে বিক্ষিপ্ত করিয়া ফেলে বলিয়া আগে যে ছিল প্রতিনিধি-শাসিত পৌর-রাষ্ট্র সব সেগুলির ধ্বংস সাধনই তাহাকে করিতে হইয়াছিল। বিভিন্ন পৌর-রাষ্ট্রের পরস্পরের মধ্যে একটা স্বচ্ছন্দ সম্মিলনও

২৭