পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

দেশের একত্বের পক্ষে যথেষ্ট বলিয়া বিবেচিত হয় নাই। ভারতের মাটিতে তাই গণতন্ত্রের বিকাশ হইতে পারে নাই। কিন্তু তবুও গণতন্ত্রের যে মূল তত্ত্ব, তাহার প্রয়োগ আমরা যথেষ্ট পাই, গ্রাম্য-সংহতির মধ্যে, পৌর-জানপদ-সভাসমিতির মধ্যে, এমন কি, জাতিবন্ধনের মধ্যেও। জনসাধারণের মধ্যেও সকলের আগে ভারতই ভাগবতশক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিল এবং রাজা যখন প্রভাবপ্রতিপত্তির চরম শিখরে দাঁড়াইয়া, তখনই তাঁহার মুখের উপরে সে বলিয়া উঠিয়াছে, ‘হে রাজ‍্ন! জনসাধারণের প্রধান দাস—গণদাস ছাড়া তুমি আর কি? ভারত সত্যযুগের যে কল্পনা করিয়াছে, তাহা হইতেছে আধ্যাত্মিক অরাজকতা। এই আধ্যাত্মিকতাকেও ভারত একেবারে চরম সীমায় ঠেলিয়া লইয়াছিল; তবুও ত একটা সুদীর্ঘ যুগ ধরিয়া ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য জীবনের স্থূল ভোগের রহস্যও তলাইয়া দেখিতে সে বিরত হয় নাই —এখানেও অম্লময় আয়তনেও সে চাহিয়াছিল সকল রকম ‘অণোরণীয়ান্ মহতো মহীয়ান্’ সিদ্ধির সম্পদ, সকল রকম তীব্র-গভীর অনুভব উপলব্ধি। তবে এই প্রসঙ্গে একটা বিষয় লক্ষ্য করিবার আছে। ভারত এই যে দুই সম্পূর্ণ বিপরীত, পরস্পর বিরোধী পথে যুগপৎ ছুটিয়া

২৮