পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

খেলায়,—রূপবৈদগ্ধ্যে—তাহা বহু বিচিত্র, যেমন তাহা সহজে নানাদিকে নানাভাবে আপনাকে বিস্তৃত, প্রসারিত করিয়া দিয়াছে তেমনি আবার উর্দ্ধ হইতে উর্দ্ধে, উচ্চ হইতে উচ্চতর গ্রামে উঠিয়া আপনার একাগ্র তীব্রতার পরিচয় দিয়াছে। অবশ্য এই আধ্যাত্মিকতার সুরটিই আর সকল সুর ছাপাইয়া উঠিয়াছে, এইটিই বহিয়াছে গোড়ায়, সদা সর্ব্বদা বারে বারে এইটিই আসিয়া দেখা দিয়াছে, আর যাহা কিছু তাহা দাঁড়াইয়াছে ইহাকেই ভিত্তি করিয়া। ভারতের গরিমার প্রথম যুগ ছিল এই রকম এক বিশুদ্ধ আধ্যাত্মিকতার যুগ। জীবনের সত্য তখন সে এক মনে এক চিত্তে খুঁজিয়াছে, একটা সাক্ষাৎ-বুদ্ধি, অপরোক্ষ-দৃষ্টির সহায়ে—বাহিরের ও ভিতরের, স্থূল ও সূক্ষ্ম জগতের বিষয় একটা অন্তর্ম্মুখী অনুভবের ও জ্ঞানের ভিতর দিয়া উপলব্ধি করিয়াছে ও ব্যাখ্যা দিয়াছে। এই গোড়ার আরম্ভ তাহার উপর যে ছাপ দিয়া গিয়াছে, ভারত কোনদিনই তাহা হারায় নাই—বরং যুগের পর যুগে অধ্যাত্মজগতের নূতন নূতন উপলব্ধি, নূতন নূতন আবিষ্কার দিয়া দেশের জীবনধারা তাহাকে সমৃদ্ধ, উপচিত করিয়াই চলিয়াছে। অবনতির যুগেও ভারত সব হারাইয়া বসিয়াছিল, কেবল এই জিনিষটি হারাইতে পারে নাই।

৩২