পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

 কিন্তু এই যে আধ্যাত্মিক ঝোঁক, তাহা শুধু উপরের দিকে, বস্তুকে বিসর্জ্জন দিতে দিতে কেবল সূক্ষ্ম তত্ত্বের দিকে, যাহা গুপ্ত যাহাকে ধরা-ছোঁয়া যায় না, কেবল তাহারই দিকে যে উঠিয়া চলে এমন নয়। এই আধ্যাত্মিকতাই আবার নীচের দিকে, বাহিরে চারিপাশে আপনার আলো ছড়াইয়া দেয়, চিন্তাজগতের সকল বহুল বৈচিত্র্য, জীবনের সকল বিপুল ঐশ্বর্য্যই, আলিঙ্গন করিয়া ধরে। তাই ভারতের গরিমার যে দ্বিতীয় যুগ, তখন আসিয়া দেখা দিল বিচারবুদ্ধি, নৈতিক আদর্শ, আধ্যাত্মিক সত্যের দীপ্তিতে জীবনকে গঠিত নিয়ন্ত্রিত করিবার জন্য জ্ঞানপ্রবুদ্ধ প্রচণ্ড কশ্মৈষণা। আত্মজ্ঞানের যুগের পর আসিল ধর্ম্মের যুগ, বেদ ও উপনিষদের পরে আসিল কর্ম্মের সৃষ্টির যুগ; ভারত তখন বীরবিক্রমে তাহার সমাজ-প্রতিষ্ঠান, তাহার চিন্তার আয়তন, তাহার দর্শনকে ঢালিয়া পিটিয়া তাহাদের মূল রূপ সব গড়িয়া তুলিতে সুরু করিল। ভারতের জীবনধারা ভারতের শিক্ষাদীক্ষার যে বাহিরের কাঠাম, তাহার মোটামুটি আকার এই যুগেই চিরকালের জন্য স্থিরীকৃত হইল, ভবিষ্যতে যে সব নূতন সৃষ্টি হইবে তাহারও বীজ এই যুগেই উপ্ত হইল। এই

৩৩