পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

সতেজ চিন্তাবৃত্তির খেলা যখন ক্রমে সাহিত্য, বিজ্ঞান, শিল্পকলা, সমাজনীতি, রাজনীতি সমস্ত প্রাকৃত জীবনেরই ব্যাপার ধরিয়া পুঙ্খানুপুঙ্খের সূক্ষ্ম অনুসন্ধিৎসায় বিকশিত মুঞ্জরিত হইয়া উঠিল তখনই এই যুগের পূর্ণ পরিণতি, তখনই আসিল, যাহাকে পাশ্চাত্যেরা বলিয়া থাকেন সংস্কৃত শিক্ষাদীক্ষার ‘ক্লাসিকাল্’ যুগ। এই যুগেই হইয়াছিল সৌন্দর্য্যবোধের চরম বিকাশ, —সকল রকম চিত্তাবেগের, ইন্দ্রিয়ানুভবের—কেবল তাই নয়, ভোগের ও ইন্দ্রিয়পরতার রহস্যও ভারত এই যুগেই খুঁজিয়া খুঁড়িয়া দেখিয়াছিল। কিন্তু প্রাণের ও মনের এই বিপুল ক্রিয়াশীলতার পিছনে সর্ব্বদাই জাগরূক ছিল ভারতের প্রাচীন অধ্যাত্ম-বোধ। তাই দেখি, এই যুগের শেষভাগে ভারতের সাধনা হইয়াছিল সমস্ত নিম্নপ্রকৃতিকে উপরে তুলিয়া ধরিতে, অধ্যাত্মের প্রভায় তাহাকে মণ্ডিত করিতে। পুরাণের, তন্ত্রের, ভক্তিমার্গের যে সাধনা, তাহার অর্থই এই। এই ভাবই পূর্ণরূপে ফুটিয়া উঠিল ভারত-প্রতিভার অন্তিম দীপ্তি উত্তরকালের বৈষ্ণব সাধনায়। বৈষ্ণব সাধনা চেষ্টা করিয়াছিল, মানুষের মধ্যে আছে যে রসানুভূতির, চিত্তাবেগের, ইন্দ্রিয়গত লিপ্সার স্তর, তাহাকে তুলিয়া

৩৪