পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

ধরিয়া অধ্যাত্মের সেবায় নিয়োগ করিতে। যে দৃষ্টি দিয়া ভারত তাহার জীবনযাত্রা শুরু করিয়াছিল, এই রকমে ঘুরিয়া আবার সেইখানেই আসিয়া পৌছিল।

 এই পূর্ণ পরিক্রমার পরে হইতে আরম্ভ ভারতের অবনতির যুগ। সে অবনতির সূচনা হইল তিনটি লক্ষণ দিয়া। প্রথমতঃ, ভারতের ছিল যে প্রচুর পরিপ্লাবী প্রাণশক্তি তাহার প্রবাহ স্তিমিত হইয়া আসিল, ছিল যে জীবনের আনন্দ, স্বজনের আনন্দ, তাহাতেও মলিনতা ধরিল। তবুও অধঃপতনের মধ্যেও ভারত যে সামর্থ্য দেখাইয়াছে তাহা বাস্তবিকই অদ্ভুত ও আশ্চর্যজনক। খুব অল্প সময়ের জন্যই সে সামর্থ্যটুকুও চলিয়া গিয়া প্রায় দেখা দিয়াছিল তামসিকতার পূর্ণগ্রাস। কিন্তু তাহা হইলেও অতীতের বিরাট্ মহত্ত্বের সহিত তুলনা করিলে স্পষ্টই বোধ হইবে কি রকমে ভারত ক্রমাগতই অধঃপতনের দিকে অব্যর্থভাবে চলিয়া আসিয়াছে। দ্বিতীয়তঃ, ভারত হারাইল তাহার পুরাতন যুগের স্বাধীন চিন্তাবৃত্তির অবাধ খেলা— তাহার সজাগ সত্যজিজ্ঞাসা, তাহার তীক্ষ্ণ বিচারবুদ্ধি মলিন হইয়া আসিল, মলিন হইয়া আসিল তাহার সৃষ্টি-ক্ষম দৃষ্টি। যাহা রহিল তাহা ক্রমেই পুরাতন জ্ঞানের

৩৫